সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: অশান্তি অব্যাহত। শুক্র ও শনিবারের নিরিখে হয়তো কিছুটা কম, কিন্তু রবিবারও সারাদিন রাজ্য জ্বলছে। উত্তেজনার আঁচ যেভাবে ছড়িয়েছে তাতে সর্বত্র আতঙ্ক গ্রাস করেছে। রেল স্টেশনে আগুন, ট্রেনে হামলা, যাত্রীদের মারধর, পথ অবরোধ করে বাস জ্বালিয়ে দেওয়া, এমনকী বাড়িতে ঢুকে আক্রমণ, সবই চলেছে অবাধে। জখম অনেকে। অভিযোগ, ভয়ে ঘর ছেড়েছেন বেশ কিছু মানুষ। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় রবিবার প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বাড়িতে জরুরি বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
রবিবার ছুটির দিন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের ডিজি-সহ রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ধেয় নিজের বাসভবনে বৈঠকে সর্বশেষ পরিস্থিতির খবর নেন তিনি। কড়া নির্দেশ দেন, কোনও গুণ্ডামি বরদাস্ত করা চলবে না। প্রতিটি থানাকে সতর্ক থাকতে বলেন। উস্কানি দিলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। আইন হাতে তুলে নিলেই গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন। ভাঙচুর, অশান্তি যারা করেছে, কাউকে ছাড়া হবে না। স্পর্শকাতর এলাকায় বাড়াতে হবে নজরদারি, বৈঠকে এমনই নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।
প্রসঙ্গত, উত্তেজিত, উন্মত্ত জনতার উপর রাশ টানতে বেশ কিছু জেলায় ইতিমধ্যেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। ভুয়ো খবর ছড়ালে কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, কিছু বহিরাগত সাম্প্রদায়িক শক্তি হিংসা ছড়াচ্ছে। তাই এই পদক্ষেপ। শান্তি বজায় রাখার জন্য পুলিশ প্রশাসনের সক্রিয়তার পরও যেভাবে হিংসার কবলে পড়ছে একের পর এলাকা, রক্তাক্ত সাধারণ মানুষ তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বহু ট্রেন বাতিল। রাস্তায় বাস কম। উত্তরবঙ্গগামী জাতীয় সড়ক, অবরুদ্ধ। জনজীবন বিপর্যস্ত। এরপরও যাঁরা বাড়ির বাইরে পা রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন তাঁদের পরিবারকে উদ্বেগের প্রহর গুনতে হয়েছে। বাংলার এই মুখ খুব একটা চেনা নয়। তাই বিষয়টি নিয়ে সব মহল থেকেই আবেদন জানানো হয়েছে শান্তি বজায় রাখার। বেশ কিছু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকেও মাইকে শান্তির বার্তা দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও ফোর্স পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.