Advertisement
Advertisement

‘বিশ্বের সেরা উৎসব’, কলকাতা বইমেলার উদ্বোধনে আবেগাপ্লুত মমতা

স্মৃতিচারণ করলেন বিশিষ্টদের৷

 Mamata Banerjee on Thursday inaugurated The Kolkata Book fair
Published by: Tanujit Das
  • Posted:January 31, 2019 5:41 pm
  • Updated:January 31, 2019 5:41 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ৪৩তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার শুভ উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিলোত্তমার এই বইয়ের উৎসবকে বিশ্বের সেরা বলে অভিহিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা বইমেলা বিশ্বের সেরা উৎসব৷ এটা বইকে জানার উৎসব৷ বইকে ভালবাসার উৎসব৷ বইমেলার আরও সার্থকতা কামনা করব৷ এই বইয়ের সংসার আরও বড় হোক৷ বই মানুষের প্রাণের স্পন্দন৷ বইয়ের মধ্যে দিয়েই শিক্ষার পরিবেশ তৈরি হয়৷ সংস্কৃতি গড়ে ওঠে এবং সভ্যতা তৈরি হয়৷’’

[বাগরিকাণ্ডে জমা পড়ল চার্জশিট, নাম রয়েছে মালিক-সহ তিনজনের ]

Advertisement

এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘‘হিংসার জবাব আমরা শান্তিতে দেব৷ নিন্দুকরা যাই বলুক, তাতে কিছু যায় আসে না৷’’ উদ্বোধনী বক্তৃতায় প্রয়াত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের স্মৃতিচারণ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ প্রয়াত সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী, কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সংগীত শিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবীকে স্মরণ করেন তিনি৷ ঐতিহাসিক মায়া সভ্যতার দেশ গুয়াতেমালাকে থিম করে শুরু হচ্ছে এবারের কলকাতা বইমেলা। বৃহস্পতিবার বিকালে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে মেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে বিশ্বের বৃহত্তম এই বইমেলা। বিধাননগরের পুলিশ প্রশাসন এই মেগা উৎসব নির্বিঘ্ন করতে বদ্ধপরিকর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের মধ্যে ছিলেন গুয়াতেমালার বিশিষ্ট সাহিত্যিক এউদা মোরালেস, বাংলার বিশিষ্ট সাহিত্যিক শংকর-সহ অন্যান্যরা। বইমেলায় নিরাপত্তা আঁটসাঁট করতে ২০০০ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবেন। ২০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা অতন্দ্র প্রহরায় থাকবে। পুলিশের সাদা পোশাকের বিশেষ একটি টিম সারা মাঠ ঘুরে বেড়াবে। মেলার মাঠে ধূমপান নিষিদ্ধ।

Advertisement

[নর্দমা থেকে উদ্ধার দু’বছরের শিশুকন্যার দেহ, চাঞ্চল্য বাবুঘাটে]

শিশুদের পকেটে পরিচয়পত্র রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বিধাননগর কমিশনারেট। গত বছর একদিনে প্রায় ২ লক্ষ মানুষ হাজির হয়েছিলেন মেলাতে। একটা সময় একসঙ্গে ৭০ হাজার মানুষ মেলায় ঘুরেছেন। এবার প্রতিটি গেটে একটি করে ওয়াচ টাওয়ার রাখা থাকছে। থাকছে ‘মে আই হেল্প ইউ’ ডেস্ক। ১০০ ডায়াল ছাড়াও অতিরিক্ত একটি ফোন নম্বর দিয়ে হেল্পলাইন খুলে রাখা থাকছে। গাড়ি রাখার জন্য মেলার মাঠের উলটোদিকে ডিজে ব্লকের ৫ ও ৩ নম্বর প্লট বরাদ্দ করা হয়েছে। মেলার সামনের রাস্তায় গাড়ি পার্কিং নিষিদ্ধ। মেলার সময় পরিবহণ দপ্তর অতিরিক্ত বাসের ব্যবস্থা করেছে। সেগুলি করুণাময়ী, ময়ূখ ভবনের সামনে ও পাঁচ নম্বর সেক্টরে রাখা থাকবে। মেলা প্রাঙ্গণ ছুঁয়ে বাস যাতায়াতের পথ নির্দিষ্ট করা হয়েছে। অটো ও ট্যাক্সির ক্ষেত্রে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে ময়ূখ ভবনের সামনে। সুষ্ঠুভাবে মেলা সম্পন্ন করতে গিল্ড-পুলিশ-বিধাননগর পুরনিগম-আরবান ডেভলপমেন্ট দপ্তর-দমকল একসঙ্গে কাজ করবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ