স্টাফ রিপোর্টার: বয়স তাদের ১২ থেকে ১৪ বছর। পার্ক সার্কাসের মোড়ে দাঁড়িয়ে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছিল। রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করেও যেন পারছিল না তারা। তা দেখে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট শতদীপ ভট্টাচার্যর। তিনি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই জানতে পারেন যে মালদহ থেকে পালিয়ে এসেছে তিন ভাই-বোন। পুলিশের সহযোগিতায় তাদের তুলে দেওয়া হল মা-বাবার হাতে।
[আদ্রা ডিভিশনের অতন্দ্র প্রহরী, ‘বেতন’ বাড়ল উইলিয়াম-টাইটানদের]
পুলিশ জানিয়েছে, ‘অ্যাডভেঞ্চার’ করার ইচ্ছা হয়েছিল মালদহের ওই তিন কিশোর-কিশোরীর। তাই সোমবার স্কুল থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি তারা। দুই বোন ও এক ভাই মিলে পরিকল্পনা করে কলকাতার তপসিয়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসে তাঁদের চমকে দেওয়ার। তাই বাড়িতে কাউকে কিছু না বলেই বেরিয়ে পড়ে তারা। মঙ্গলবার সকালে ট্রেনে করে এসে নামে শিয়ালদহ স্টেশনে। তারা জানত ওই আত্মীয়র বাড়ি পার্ক সার্কাসের কাছে। তাই স্টেশন থেকে নেমে পথচারীদের জিজ্ঞাসা করে তারা পার্ক সার্কাসে এসে পৌঁছায়। সেখানে এসেই বিপাকে পড়ে। কিছুতেই বুঝতে পারছিল না কোনদিকে যাবে। রাস্তা পার হতেও ভয় পাচ্ছিল তারা।
[বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখায় ট্রেনে অবৈধ সিট বুকিং রুখতে তৎপর প্রশাসন]
কিশোর-কিশোরীকে এমন অবস্থায় দেখে এগিয়ে যান ইস্ট ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট শতদীপ ভট্টাচার্য। তাদের প্রশ্ন করতে থাকেন তিনি। প্রথমে ভয় পেয়ে যায় ওই ছাত্র-ছাত্রী। পুলিশ আধিকারিক তাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশে তাদের সমস্যা জানার চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত তারা জানায়, অ্যাডভেঞ্চার করতেই বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছে তারা। তাদের কাছ থেকে অভিভাবকের ফোন নম্বর চান আধিকারিক। ওই অভিভাবককে ফোন করে তিনি নিশ্চিত হন যে, তারা পালিয়েই এসেছে। সারা রাত ধরে বাড়ির লোকেরা তাদের খুঁজেছেন। এদিন সকালে পরিবারের লোকেরা মিসিং ডায়েরি করার আগেই কলকাতা পুলিশের অফিসারের ফোন আসে। ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে ওই ছাত্র-ছাত্রীদের বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অভিভাবকরা মালদহ থেকে কলকাতায় এসে ছেলেমেয়েদের বাড়ি নিয়ে যান।
[আত্মসমর্পণ করতে এসে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি অভিযুক্তর, বাধা দিলেন আইনজীবীরা]