Advertisement
Advertisement

Breaking News

শিশু

দমবন্ধ হয়েই প্রাণ হারিয়েছে খুদে, পার্কে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় খুনের তত্ত্ব ওড়াল পুলিশ

হামাগুড়ি দিতে দিতেই দম বন্ধ হওয়ায় মৃত্যু, বলছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট।

New turn in subodh mallick squre child death case

ছবি: প্রতীকী

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:August 2, 2020 11:05 pm
  • Updated:August 3, 2020 12:26 am

অর্ণব আইচ: আচমকা মায়ের পাশ থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল শিশুকন্যা। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পর উদ্ধার হয় আট মাসের শিশুর নিথর দেহ। যা ঘিরে দানা বাঁধে রহস্য। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসতেই স্পষ্ট গোটা বিষয়।

পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটি মায়ের পাশ থেকে হামাগুড়ি দিতে শুরু করেছিল। সেই সময় দম বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তার। চিকিৎসকরা পুলিশকে জানান, “শিশুটির দেহে বিশেষ কোনও আঘাত নেই। যদিও হাত-পা, মুখের কাছে রয়েছে ছড়ে যাওয়ার দাগ। হামাগুড়ি দিতে দিতে পড়ে গিয়ে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুটির। তার ফুসফুস, পাকস্থলীর মতো বেশ কিছু অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

Advertisement

জানা গিয়েছে, আট মাসের এই শিশুটির নাম খুশি খাতুন। মা-বাবার সঙ্গে রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারের (Raja Subodh Mallick Square) কাছেই ফুটপাতে থাকত সে। শনিবার রাতে মায়ের পাশেই ঘুমোচ্ছিল খুদে। রবিবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ মা ঘুম থেকে উঠে দেখেন, শিশুটি কোলের কাছে নেই। স্বামী শেখ রাজুকে ডাকেন তিনি। এরপরই বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় শিশুর খোঁজ। পরে সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারের নিরাপত্তারক্ষী মাঠের এক জায়গায় শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখেন। তিনিই পরিবারকে খবর দেন। মা শনাক্ত করেন তাঁর সন্তানকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: একে বায়না নেই, কারিগররাও আসছেন না, করোনার কোপে অথৈ জলে কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীরা]

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তখনই শিশুটির পায়ে ও হাতে ধুলো চোখে পড়ে পুলিশের। এছাড়াও ছিল ছড়ে যাওয়ার দাগ। প্রাথমিকভাবে রটে যায়, অপহরণ করে খুন করা হয়েছে শিশুটিকে। ঘটনাটি যথেষ্ট গুরুত্ব দেখেন পুলিশ অফিসাররা। মাঠে নামেন লালবাজারের গোয়েন্দারাও। শেষ পর্যন্ত ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে পুলিশ জেনেছে, এটি একটি দুর্ঘটনা মাত্র। শিশুটির মা পুলিশকে জানান, তাঁর মেয়ে খুবই ছটফটে। সবে হামাগুড়ি দিতে শিখেছিল। হামাগুড়ি দিয়ে যখন-তখন ফুটপাতের এদিক-ওদিক চলে যেত খুদে। অনেক সময় দুর্ঘটনার ভয়ে কোমরে দড়ি দিয়ে তাকে বেঁধে রাখা হত। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হল না। দুর্ঘটনা সেই ঘটল।

পুলিশের মতে, ভোররাতে শিশুটির ঘুম ভেঙে যায়। সে একা একাই হামাগুড়ি দিয়ে মাঠের গেটের নিচ দিয়ে ভিতরে ঢুকে যায়। যেহেতু সবেমাত্র হামাগুড়ি দিতে শিখেছে, তাই মাঝে মধ্যেই পড়ে যাচ্ছিল সে। সেই কারণে তার হাত ও পায়ে ধুলো এবং ছড়ে যাওয়ার দাগ মিলেছে। একসময় এমনভাবে পড়ে যে, তার দম বন্ধ হয়ে যায়। আভ্যন্তরীণ আঘাতে মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনায় তার অভিভাবকদের গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: ফের অমানবিকতার নজির, করোনা সন্দেহে বৃদ্ধকে বাড়ি থেকে বের করে দিল পরিবার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ