সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চার মিনিটের রাস্তা পেরতে পেরতে চল্লিশ মিনিট। কলকাতাবাসীর কাছে এ অভিজ্ঞতা নতুন নয়। এরকম পরিস্থিতিতে পড়লেই সকলে বুঝে যান নিশ্চিত কোনও রাজনৈতিক দলের মিটিং-মিছিল আছে। সে কারণেই রাস্তা বন্ধ। ঠায় লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বাসের পর বাস। তবে সে পরিস্থিতি বদলাতে চলেছে আদালতের রায়ে। এক জনস্বার্থ মামলার রায়ে আজ হাই কোর্ট জানাল, পুরো রাস্তা বন্ধ করে কখনওই মিটিং-মিছিল করা যাবে না।
[ ভাগাড় কাণ্ডে জনস্বার্থ মামলা দায়ের পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের ]
মিটিং-মিছিল করা যে মৌলিক অধিকার তা স্বীকার করে নিয়েছে আদালত। কিন্তু তা সত্ত্বেও আদালতের মত, কখনই সেই অধিকারের কারণে সাধারণ মানুষের অসুবিধা করা যায় না। শহরের এ ছবি নতুন কিছু নয়। যে কোনও রাজনৈতিক দলই শহরের প্রাণকেন্দ্রে মিটিং-মিছিলের আয়োজন করে বা করতে চায়। পুলিশের থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়েই তা করা হয়। অবস্থা বুঝে পুলিশ বিকল্প ব্যবস্থাও করে। কিন্তু কলকাতার মতো মেট্রো সিটির পক্ষে তা অনেক সময়ই যথেষ্ট হয় না। ফলে মিটিং-মিছিল হওয়া মানেই দীর্ঘ যানজট। এই পরিস্থিতি বদলাতে চেয়েই আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। তার রায়েই আজ হাই কোর্ট জানিয়ে দিল, পুরো রাস্তা বন্ধ করে মিটিং-মিছিল করা যাবে না। কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের জন্য নয়, এ রায় সবার ক্ষেত্রে, সব সংগঠনের কার্যক্রমের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
[ মেট্রোয় যুগল হেনস্তার নেপথ্যে কারা? না জেনেই ট্রোল পুলিশ নেটদুনিয়া ]
রাজনৈতিক দলের মিছিলের ক্ষেত্রে অবশ্য দলের কর্মীরাই যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু মিছিল বা জনসভায় লোক বেশি থাকলে অনেক সময়ই রাস্তা ফাঁকা রাখা সম্ভব হয় না। সভার মূল জায়গা ছেড়ে মানুষের ঢল নামে রাজপথেও। সে সময় যান চলাচল থমকে যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। আদালতের রায়ে এই পরিস্থিতি বদলাবে বলেই মনে করছেন শহরবাসী। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, শহরের নিয়মমাফিক বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের মিটিং-মিছিল হয়। নির্দিষ্ট দিনেই হয়। এবার থেকে কি তবে তা বিকল্প স্থানে হবে? সে উত্তর অবশ্য স্পষ্ট নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.