সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেট্রো স্টেশনে এসে লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করার ঘটনা এ শহরে আকছার ঘটছে। যার ফলে মেট্রো চলাচল ব্যাহত হয়। দীর্ঘক্ষণ বন্ধও হয়ে যায় পরিষেবা। ফলে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হন নিত্যযাত্রীদের। আর সেই কারণেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রেলকে নয়া ধাঁচে সাজানো হচ্ছে। যেখানে আত্মহত্যা করার কোনও উপায় থাকবে না।
[বুথের লড়াইকে শ্মশান পর্যন্ত নিয়ে যাব, পঞ্চায়েত ভোটের আগে হুঁশিয়ারি দিলীপের]
আত্মহত্যা রুখতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? জানা যাচ্ছে, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রতিটি স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে এবার বসবে বিশেষ স্ক্রিন ডোর। মেট্রোর দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে স্ক্রিন ডোরের দরজাগুলিও খুলে যাবে। আবার মেট্রো স্টেশন ছাড়লেই তা বন্ধ হয়ে যাবে। যার ফলে লাইনে ঝাঁপ দেওয়ার কোনও উপায় থাকবে না। মেট্রো রেলওয়ের জিএম আগেই জানিয়েছিলেন, পুজোর আগেই সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত চালু হবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবা। ফলে কর্মব্যস্ত দিনে তো বটেই, পুজোর সময় রাস্তার যানজট এড়ানোও সুবিধাজনক হবে সল্টলেকবাসীদের। যে ছ’টি স্টেশনে মেট্রো পরিষেবা চালু হবে, সেই সবগুলিতে পুজোর আগেই বসবে এই কাচের স্ক্রিন ডোর। পরবর্তীকালে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সমস্ত রুটেই এই স্ক্রিন ডোর বসবে। মেট্রো এলে কাচের ভিতর থেকেই দেখা যাবে ট্রেন। দাঁড়াতে হবে স্লাইডিং ডোরের সামনে। অর্থাৎ অনায়াসে মেট্রোর দরজার অবস্থানও বোঝা যাবে। পাশাপাশি স্টেশনের ধারে গিয়ে উঁকি মেরে মেট্রো আসছে কিনা দেখারও উপায় থাকবে না। আত্মহত্যার কারণে যে এবার আর মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হবে না, তা বলাইবাহুল্য।
[খিদিরপুরে মেলার দোলনা থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর জখম নাবালিকা, ভরতি ICU-তে]
বিদেশের প্রায় প্রতিটি জায়গাতেই মেট্রো স্টেশনে স্ক্রিন ডোরের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে দিল্লির পর কলকাতাতেও এইভাবে সাজছে মেট্রো। দিল্লি মেট্রোয় এয়ারপোর্ট যাওয়ার রুটে এই স্ক্রিন ডোরের ব্যবস্থা রয়েছে। এবার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর যাত্রীরাও এই পরিষেবা উপভোগ করবেন পুজোর আগেই। তবে গড়িয়া থেকে দমদম রুটে যে প্রাচীন মেট্রো পরিষেবা রয়েছে, সেখানে আত্মহত্যা রুখতে মেট্রো রেলের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় কিনা, সেটাই দেখার।