সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেতনবৃদ্ধি-সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে সল্টলেকের বিকাশ ভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন পার্শ্বশিক্ষকরা। সোমবার অনশনের চতুর্থ দিন। এর মধ্যে চারজন পার্শ্বশিক্ষক অসুস্থ হয়ে প়ড়েছেন। অনশনের জেরে স্কুলের পড়াশোনা লাটে উঠেছে। ঘরনার জেরে শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলে উপস্থিত থাকছেন না। ফলে পড়াশোনা তেমন হচ্ছে না বলেই খবর।
অনশনকারীরা জানিয়েছেন, অসুস্থদের বিধাননগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, অসুস্থদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য মঞ্চের কাছাকাছি কোনও অ্যাম্বুল্যান্স রাখার ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে অসুস্থদের হাসপাতালে স্থানান্তরিক করতে বেশ বেগ পেতে হয়। অটো করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হত তাঁদের। গোটা ঘটনায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। অনশনকারীদের মধ্যে সন্তোষ আরও বাড়ছে।
হাইকোর্ট থেকে ছাড়পত্র নিয়ে সপ্তাহখানেক আগে ধরনায় বসেছিলেন পার্শ্বশিক্ষকরা। পাঁচদিন পর সেই ধরনা আমরণ অনশনে গড়ায়। প্রায় ৩৫ জন পার্শ্বশিক্ষক-শিক্ষিকা অনশনে বসেন। গত শুক্রবার ধরনা মঞ্চে হাজির ছিলেন কয়েক হাজার পার্শ্বশিক্ষক। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি শিক্ষক আন্দোলন হয়েছে কলকাতায়। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং স্নাতক শিক্ষকদের আন্দোলন দেখেছে শহর। মূলত বেতনবৃদ্ধির দাবিতে এই আন্দোলন। একই দাবিতে ফের পথে নামেন পার্শ্বশিক্ষক-শিক্ষিকারা। সল্টলেকে ১১ নভেম্বর থেকে টানা ধরনা চলছে। সেই আন্দোলন মঞ্চ থেকেই আমরণ অনশনের ডাক দেওয়া হয়। মঞ্চের সামনে ব্যানার দিয়ে জানানো হয়, এটি একটি অরাজনৈতিক মঞ্চ। তবে শাসক বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা তাঁদের সমর্থন জানিয়ে হাজির থেকেছেন।
বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান করার অনুমতি চেয়ে বিধাননগর পুলিশের কাছে আবেদন জানান পার্শ্বশিক্ষকরা। কিন্তু, বিধাননগর পুলিশ আইনশৃঙ্খলার দোহাই দিয়ে অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি দিচ্ছিল না। পুলিশের বক্তব্য ছিল, ওখানে বিকাশ ভবন ও জলসম্পদ ভবন-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর ও হাসপাতাল রয়েছে। ফলে পার্শ্বশিক্ষকদের অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আন্দোলনকারীরা। আদালতের তরফে দিনকয়েক আগে জানিয়ে দেওয়া হয়, বিকাশ ভবনের পাশে থাকা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তির সামনে অবস্থান করা যাবে। তারপরই বিভিন্ন দাবি নিয়ে ফের আন্দোলনে নামেন পার্শ্বশিক্ষকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.