Advertisement
Advertisement

Breaking News

সব্যসাচী দত্ত

জল্পনা বাড়িয়ে দিল্লি গেলেন সব্যসাচী, আজই দলবদলের সম্ভাবনা

ব্যক্তিগত কাজে যাচ্ছেন বলে ধোঁয়াশা বাড়ালেন বিদ্রোহী তৃণমূল নেতা।

Sabyasachi Dutta reaches Delhi, likely to join BJP today
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:August 16, 2019 12:34 pm
  • Updated:August 16, 2019 3:03 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলবদলের জল্পনা বাড়িয়ে দিল্লি গেলেন সব্যসাচী দত্ত। শুক্রবার সকালেই কলকাতা থেকে নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে উড়ে যান তৃণমূলের বিদ্রোহী নেতা। বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, ব্যবসার কাজে দিল্লি যাচ্ছেন। তবে সেখানে কার সঙ্গে দেখা করবেন তা নিয়ে কিন্তু ধোঁয়াশা রেখে দিলেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র। জানান, বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন। ব্যবসার কাজে যার যার সঙ্গে কথা বলার বলবেন। তবে রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন, আজই সম্ভবত বিজেপির সদর দপ্তরে গেরুয়া উত্তরীয় গলায় পরবেন রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সম্পাদক (সংগঠন) শিব প্রকাশের সঙ্গে সব্যসাচীর বৈঠক করানোর চেষ্টা করছেন মুকুল রায়। তা সম্ভব হলে আজই তৃণমূলকে ধাক্কা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন সব্যসাচী।

লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই তৃণমূলের অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছিলেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত৷ কখনও আলটপকা বা কখনও দলবিরোধী মন্তব্য করে তৃণমূলকে চাপে ফেলছিলেন তিনি৷ এর মধ্যে একাধিকবার বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গেও প্রকাশ্যে সাক্ষাৎ করেন তিনি৷ তখন থেকেই তাঁর বিজেপিতে যোগদানের চর্চা শুরু হয়৷ অবশেষ তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করে শাসকদল৷ মাঠে নামেন খোদ রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিধাননগরের কাউন্সিলররা৷ এবং সেই অনাস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে যান সব্যসাচী৷ জিতেও আসেন৷ তবে আশ্চর্যজনক ভাবে সঙ্গে সঙ্গে মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি৷ বুধবার সংবাদ সংস্থা এএনআই টুইট করে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি তাঁরও বিজেপিতে যোগ দেওয়ার খবর জানায়। কিন্তু শেষপর্যন্ত বিজেপি দপ্তরে যাননি তিনি।

Advertisement

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে এসে শোভন ও কেন্দ্রের স্তুতি করে বিজেপি যোগের জল্পনা বাড়ান বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কাশ্মীর ইস্যুতে পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার ৭২ বছর পর কাশ্মীরে প্রথম জাতীয় পতাকা উড়ল। এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের সৌজন্যে। এটা সত্যিই প্রশংসনীয়।’ একইসঙ্গে বলেন, শোভন যে দলেই যাবে তারই লাভ। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপিতে তাঁর পা বাড়িয়ে রাখার জল্পনা উসকে ওঠে এই মন্তব্যে। পাশাপাশি এও জানান, শুক্রবার দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। তখনই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছড়ায়, তবে কি শোভন-বৈশাখীর মতো তিনিও বিজেপির পথে? এর উত্তর সম্ভবত আজই মিলতে পারে বেলা গড়ালে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ