সুব্রত বিশ্বাস: “আমি এমন জায়গা থেকে জিতেছি যেখানে পঞ্চাশ শতাংশ ভোটারই বাঙালি। আমার শ্যালকের প্রতিবেশীরা সবাই বাঙালি। বাঙালিদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য নেই। আমরাই পার্থক্য বাড়িয়ে চলেছি।”-
সোমবার হাওড়া স্টেশনে অন্ত্যোদয় এক্সপ্রেসের উদ্বোধনে এসে রেল প্রতিমন্ত্রী রাজেন গোঁহাই নিজের অভিব্যক্তি এভাবেই প্রকাশ করেন। কারণ, মঞ্চে উপস্থিত হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রীর কাছে হিন্দিতে শালিমারে চারটি লেভেল ক্রসিংয়ের জন্য অ্যাম্বুল্যান্স চলাচলের সমস্যা তুলে ধরেন। সেখানে একটি সাবওয়ের আবেদন জানান। সাংসদ প্রসূন বাংলায় বক্তব্য রাখলেও তাঁকে (রাজেন) বোঝাতেই একটি আবেদন হিন্দিতে করেন। সেই আবেদনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি স্পষ্ট করতে চান, ভাষা নয়, মানুষের ভালবাসাই সব সমাজের উপাদেয়। দেশের একেবারে সাধারণ মানুষের জন্য ২০১৬ সালে তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু অন্ত্যোদয় এক্সপ্রেস চালানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন। আজ তা বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ট্রেনটি পুরোপুরি অসংরক্ষিত। তবুও সব স্বাচ্ছন্দ্য রয়েছে। আরামদায়ক সিট, মাল রাখার তাক, অ্যাকোয়াগার্ডের পানীয় জল, এলইডি লাইট, মোবাইল চার্জার, উন্নতমানের বায়োটয়লেট, দৃষ্টিহীনদের জন্য সিটে বিশেষ সংকেত। ট্রেনটি সাঁতরাগাছি-চেন্নাই সেন্ট্রালের মধ্যে চলবে একদিন। তবে চাহিদা থাকলে বাড়ানো হবে দিনও। প্রতি সোমবার সন্ধ্যা সাতটার সময় সাঁতরাগাছি ছেড়ে পরের দিন রাত পৌনে এগারোটার সময় চেন্নাই পৌঁছবে এই সুপারফাস্ট ট্রেন।
এদিন মন্ত্রী রাজেন গোঁহাই বলেন, গত চার বছরে আমূল বদলেছে রেল। আরও বদলের প্রয়োজন। ২০২০ সালের মধ্যে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে রেল জুড়ে দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হবে। দুর্ঘটনা কমেছে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ডায়নামিক ফেয়ার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, মুম্বই, দিল্লি রাজধানীতে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। লাভও হচ্ছে। তবে এখনও এনিয়ে আলোচনা চলছে। মেল এক্সপ্রেসের গতি প্রতি বছর পাঁচ কিলোমিটার করে বাড়িয়ে আগামী পাঁচ বছরে পঁচিশ কিলোমিটার গতি বাড়ানো হবে। এদিন হাওড়া স্টেশনে ট্রেনটির উদ্বোধনে দক্ষিণ-পূর্ব, পূর্ব ও মেট্রো তিন রেলের জিএম এস এন আগরওয়াল, হরীন্দ্র রাও, অজয় বিজয়বর্গী ও এজিএমরা উপস্থিত ছিলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.