Advertisement
Advertisement

Breaking News

রাজীব কুমার

অব্যাহত রাজীব-সিবিআই ইঁদুর দৌড়, সময় পেরলেও দেখা নেই প্রাক্তন নগরপালের

আপাতত কলকাতার বাইরেই রাজীব কুমার, এমনটাই জল্পনা৷

Saradha scam: ex-Kolkata CP Rajeev Kumar skips CBI summon

ফাইল চিত্র

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 27, 2019 10:49 am
  • Updated:May 27, 2019 1:46 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  চলতি বছরের শুরুতেই অন্যতম নির্ভরযোগ্য পুলিশ অফিসারের পাশে দাঁড়াতে কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে যেতেও দ্বিধা করেননি  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই জল গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত৷ বাঘা আইনজীবীরা দরবার করেছিলেন কলকাতা হাই কোর্ট থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট অবধি৷ তবে শীর্ষ আদালতের আইনি রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গভীর সংকটে পড়েন রাজীব কুমার৷ মরিয়া হয়ে নিজেকে বাঁচানোর পথ খুঁজতে গা ঢাকা দিয়েছেন৷ সোমবার নির্ধারিত সময়ের পরেও সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিলেন না কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল৷

[প্রকাশিত উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল, ইতিহাস গড়ে প্রথম দশে রেকর্ড সংখ্যক কৃতী]

রবিবার লুকআউট নোটিস জারি করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাজীব কুমারকে ফের ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে সল্টলেকের সিজিও দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয় তাঁকে। সিজিও কমপ্লেক্স তো দূরের কথা, শহরের আনাচেকানাচে কোথাও দেখা গেল না রাজীবকে৷ সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশে গা ঢাকা দিয়েছেন প্রাক্তন নগরপাল৷ এখনও পর্যন্ত বারাসত আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেননি তিনি৷ 

Advertisement

উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো শুক্রবার বিকেলে বারাসত আদালতে রাজীবের আইনজীবী আগাম জামিনের আবেদন জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু আইনগত কিছু ত্রুটি থাকায় সেই আবেদন বাতিল করেন জেলা বিচারক। সোমবার সেই জামিনের আবেদন আদালতে জমা পড়ার আগেই রাজীব কুমারকে নিজেদের অফিসে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। এদিন যে রাজীবকে গ্রেপ্তার করা হবে তা একপ্রকার নিশ্চিত হয়েই ছিল৷ আর সেই আঁচ পেয়েই রবিবার রাতে ‘গা ঢাকা’ দিয়েছিলেন ১৯৮৯ ব্যাচের দুঁদে আইপিএস অফিসার৷  

Advertisement

গতকাল সন্ধ্যা ৭.৩০ নাগাদ সিবিআইয়ের একটি দল নগরপাল থাকাকালীন লাউডন স্ট্রিটে রাজীব কুমারের সরকারি বাংলো ছুঁয়ে তাঁরা পৌঁছন ৩৪ নম্বর পার্ক স্ট্রিটে আইপিএস কোয়াটার্সে। নগরপালের পদ থেকে অপসারিত হওয়ার পর ৩৪ নম্বর পার্ক স্ট্রিটের দোতলাতেই রাজীব কুমারের সরকারি আবাসন। সিবিআই সূত্রে খবর, ফ্ল্যাটে রাজীব কুমার ছিলেন না, ছিলেন তাঁর পরিবারের লোকজন। সূত্রের খবর, তাঁর পরিবারের সদস্যরা নোটিস গ্রহণ করতে অস্বীকার করলে ফ্ল্যাটের দরজাতেই টাঙিয়ে দেওয়া হয় সোমবারের হাজিরার নোটিস।  ইতিমধ্যে সিবিআই আধিকারিকদের কাছে খবর আসে, রাজীব কুমারকে ফের এডিজি সিআইডি পদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে শেষ দফা ভোটের ঠিক আগে রাজীব কুমারকে এডিজি,সিআইডি পদ থেকে অপসারিত করে দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল। এদিন আদর্শ আচরণবিধির মেয়াদ ফুরনোর পর নবান্ন তাঁকে পুরনো পদে ফিরিয়ে আনে। এডিজি,সিআইডি হিসাবে রাজীর কুমারের অফিস ভবানী ভবনে। পার্ক স্ট্রিট থেকে বেরিয়ে সিবিআই আধিকারিকেরা রওনা দেন ভবানী ভবনের উদ্দেশে। সেখানেও রাজীর কুমার ছিলেন না। সিআইডি-র কন্ট্রোল রুমে নোটিস জমা দিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে ফেরেন সিবিআই আধিকারিকেরা।     

লোকসভা নির্বাচনের আগে সারদা মামলায় রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে বেনজিরভাবে পুলিশ আটকে দেয় সিবিআই অফিসারদের৷ ঘাড়ধাক্কা দিয়ে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় থানায়৷ তারপরই গোটা বিষয়টি সিবিআই বনাম কলকাতা পুলিশ যুদ্ধের পর্যায়ে পৌঁছায়৷ শেষমেশ শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় সিবিআই৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো শিলংয়ে রাজীবকে টানা জেরা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি৷ যদিও আইনি রক্ষাকবচ থাকায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা যায়নি৷ কিন্তু এবারে সুপ্রিম কোর্ট সেই রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করায় বিপাকে পড়েছেন রাজীব৷ উল্লেখ্য, সারদা চিটফান্ড মামলায় নাম জড়িয়েছে কুণাল ঘোষ,  তাপস পাল, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মদন মিত্র-সহ একাধিক তৃণমূল নেতার৷ অভিযুক্ত হিসেবে দীর্ঘকাল কারাবাসেও ছিলেন তাঁরা৷ অভিযোগ, রাঘববোয়ালদের আড়াল করতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে একাধিক প্রমাণ লোপাট করেছেন কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল রাজীব কুমার৷    

[লোকসভা ভোটে ভরাডুবি, দুঃখে খাবার মুখে তুলছেন না লালু]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ