Advertisement
Advertisement

Breaking News

রাজ্যে কমছে স্কুলছুটের সংখ্যা, বিধানসভায় জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও বিরোধীদের জন্য শিক্ষক নিয়োগ করা যাচ্ছে না, দাবি পার্থর।

School dropout graph downward in WB
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:November 19, 2018 3:32 pm
  • Updated:November 19, 2018 3:32 pm

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: গত এক বছরে রাজ্যে ব্যাপক হারে কমছে স্কুলছুটের সংখ্যা। সোমবার বিধানসভায় পরিসংখ্যান তুলে একথা জানান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্রের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে যেখানে প্রাথমিকে স্কুলছুটের সংখ্যা ছিল ৩.৮৫ শতাংশ, সেখানে ২০১৭-১৮-তে তা কমে হয়েছে ২.১২ শতাংশ। স্কুলছুটের সংখ্যা কমেছে উচ্চপ্রাথমিক স্তরেও। উচ্চপ্রাথমিক স্তরে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে স্কুলছুটের সংখ্যা ছিল ৭.৫%। বিগত শিক্ষাবর্ষে তা কমে হয়েছে মাত্র ০.১৭ শতাংশ। অর্থাৎ, উচ্চপ্রাথমিক স্তরে কার্যত তলানিতে ঠেকেছে স্কুলছুটের সংখ্যা। মাধ্যমিকস্তরে স্কুলছুটের সংখ্যা কমেছে প্রায় ১২ শতাংশ। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে সংখ্যাটা ছিল ২৬.৩২ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ১৪.৬৪ শতাংশ।”

[লগ্নির নামে প্রতারণা, ৩৫ হাজার টাকা খোয়ালেন বৃদ্ধা]

এদিকে ইসলামপুর কাণ্ডের পর থেকেই রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আতস কাচের তলায় কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে শিক্ষক বিন্যাসের পদ্ধতি নিয়েও। এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “শিক্ষক বিন্যাস সঠিক করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী ২-৩ মাসের মধ্যেই তা সম্পূর্ণ হবে। শিক্ষক অপ্রতুল নয়, বর্তমানে রাজ্যের স্কুলগুলোতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিন্যাস সঠিক নেই, শিক্ষক সংখ্যায় প্রচুর মিস-ম্যাচ রয়েছে। সেটা নিয়ে ইতিমধ্যেই শিক্ষা দপ্তর একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে, সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই স্কুলগুলিতে শিক্ষকের পুনর্বিন্যাস হবে।”

Advertisement

[নির্বাচনী জোটের ফর্মুলা নির্ধারণে আজ বৈঠকে মমতা-চন্দ্রবাবু]

শিক্ষক নিয়োগ নিয়েও এদিন বিরোধীদের একহাত নেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি সাফ জানান, সরকারের সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও শিক্ষক নিয়োগ করা যাচ্ছে না বিরোধীদের জন্য। সরকার নিয়োগ করতে চাইলে তা আটকে যাচ্ছে আদালতে গিয়ে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “শিক্ষক নিয়োগ অবশ্যই হবে, কিন্তু সবাই তো এখন কোর্টমুখী, ভুল হলে আসুন, কথা বলুন, আলাপ-আলোচনা করুন। সেটা না করে তো সবাই আদালতে চলে যাচ্ছেন, সব তাই আটকে পড়ছে।” এদিন বিধানসভায় বেসরকারি স্কুলগুলির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দ্রুত বেসরকারি স্কুলগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ আনা হবে, ইংলিশ মাধ্যমের স্কুলের নামে অন্যকিছু চলছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ