Advertisement
Advertisement
মেট্রো

মেট্রো স্টেশনে ঢোকার গেটেও সমস্যা, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

যে সংস্থা স্মার্ট কার্ড গেট রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল, তারা অনেকদিন আগেই দায়িত্ব ছেড়েছে বলে খবর।

Smart Card Gate on Metro station creates problem for passengers
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:July 21, 2019 9:07 am
  • Updated:July 21, 2019 9:07 am

নব্যেন্দু হাজরা:  শুধু মেট্রোর রেকের দরজা নয়, পাতালে ঢোকার দরজায় সমস্যাতেও নিত্য ভুগছেন সাধারণ যাত্রীরা। প্রায়ই বিগড়াচ্ছে মেট্রোর স্মার্ট কার্ড গেট। যে স্টেশনে যাত্রীচাপ বেশি, সেখানেই অচল হয়ে যাচ্ছে বিদেশি এই গেট। মেট্রোয়  কয়েকজন কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে এই গেট মেরামত করা হচ্ছে বটে, কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফের তাও বিগড়াচ্ছে। হয়রানি বাড়ছে যাত্রীদের।

[আরও পড়ুন: একুশের সমাবেশে নিরাপত্তায় বিশেষ জোর, পথে ৫০০০ পুলিশ]

কিন্তু কেন এই হাল? মেট্রোসূত্রে খবর, যে সংস্থা এই ব্যাগেজ স্ক্যানার, ডিএফএমডি গেট, স্মার্ট কার্ড গেট রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল, তারা অনেকদিন আগেই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছে। তারপর নতুন করে আর টেন্ডার হয়নি। মেট্রোরই কয়েকজন কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে এই গেট মেরামতের কাজ করানো হচ্ছে। কিন্তু আধিকারিকদের বক্তব্য, এই কর্মীরা কেউই পুরোপুরি প্রশিক্ষিত নন। তাই জোড়া-তাপ্পি মেরে কোনওমতে কাজ চলছে। ফলে ফের তা বিগড়াচ্ছে। গেট বিগড়ালে সঙ্গে সঙ্গে সেই বার্তা সেন্টার ফর রেলওয়েস ইনফরমেশন সিস্টেমের (ক্রিস) মাধ্যমে পৌঁছে যায় কন্ট্রোলে। পাঠানো হয় রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীদের। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটে না। সূত্রের খবর, নানা কারণে এই গেট বিকল হয়। প্রথমত যাত্রীচাপ বেশি পড়লে গেটের সেন্সর গরম হয়ে যায়। ফলে তা কাজ করতে চায় না। আটকে যায়। দ্বিতীয়ত, দিনে বহুবার ওই গেটগুলোকে খুলে টোকেন বের করতে হয় কর্মীদের। কারণ প্রয়োজনের তুলনায় টোকেনে ঘাটতি। বার বার গেট খোলার ফলে মাঝেমধ্যেই বিগড়ায় তা। তৃতীয়ত, ওই গেট খারাপ হলে সেটিকে ঠিক করতে যে সমস্ত যন্ত্রের প্রয়োজন, তাও এখানে পাওয়া যায় না। ফলে ঠিকঠাক সারানোও হয় না। মেট্রোর আধিকারিকরাই জানাচ্ছেন, আগে মেট্রোয় ছ’লক্ষ যাত্রী চলাচল করত। এখন তা সাত লাখ ছুঁয়েছে। কিন্তু গেটের সংখ্যা তো বাড়েনি। ফলে গেটে অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। আর তাতেই বিগড়াচ্ছে এই স্মার্ট কার্ড গেট। দিনে গড়ে অন্তত ১০-১৫ টি গেট বিকল হয়।

Advertisement

যাত্রীদের অভিযোগ, অনেক সময়ই গেট খারাপ থাকায় রেলপুলিশ পাশের রেলিং খুলে দেন। ফলে কার্ড পাঞ্চ না করেই অনেকে বেরিয়ে যান। কিন্তু পরে যখন কার্ড পাঞ্চ করতে যান, তখন হয় না। টিকিট কাউন্টারে গিয়ে সেই লক খোলাতে উপরি খসে ২৫ টাকা। মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যখনই মেট্রোর গেট বিকল হয় সঙ্গে সঙ্গে ক্রিস পদ্ধতির মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ তা জানতে পারে। দ্রুত লোক গিয়ে গেট ঠিক করেন। তাছাড়া নিয়মিত আমাদের রিপোর্ট করতে হয় কতগুলি গেট খারাপ হয়েছে, না হয়েছে। গেট বিকল হওয়া আটকাতে আরও দৃষ্টি দেওয়া হবে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: একুশের মঞ্চে থাকতে পারেন প্রশান্ত কিশোর! জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ