Advertisement
Advertisement

Breaking News

সিবিআই এখন বিজেপি ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, বিতর্কের মধ্যেই তোপ মমতার

বিতর্ক এড়ানোর মরিয়া চেষ্টা জেটলির।

The CVCs recommendation and the government's action is intended to restore the institutional integrity and credibility of CBI: FM Arun Jaitley
Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:October 24, 2018 1:33 pm
  • Updated:October 24, 2018 4:24 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  সিবিআইয়ের গৃহযুদ্ধের আগুনে জল ঢালতে এবার আসরে নামলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি৷ বুধবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে পরিস্থিতি ধামাচাপা দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করেন জেটলি৷ স্বাধীন সংস্থা সিভিসি’র মধ্যমে গোটা ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে এদিন সরকারি ভাবে বিবৃতি দিয়ে জানান জেটলি৷ সিবিআইয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা ফেরাতে সরকারি কোনও সংস্থা তদন্ত করবে না বলেও সাফাই দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী৷ বলেন, ‘‘দোষ প্রমাণিত হবে, শাস্তি হবেই৷ কেউকেই ছাড় দেওয়া হবে না৷’’ মিনিট সাতেকের সাংবাদিক বৈঠক করতে গিয়ে একাধিকবার মেজাজ হারান জেটলি৷ সংবাদিকাদের তির্যক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন অর্থমন্ত্রী৷ বলেন, ‘‘দুই আধিকারিকই প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে৷ এই মুহূর্তে আমাদের প্রথম লক্ষ্য, সিবিআইয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনা৷’’

[ফের এনকাউন্টার কাশ্মীরে, জওয়ানদের গুলিতে খতম ২ জঙ্গি  ]

Advertisement

 

Advertisement

 

সরকারিভাবে কেন্দ্রের তরফে সাফাই পর্ব শেষ হতে না হতেই টুইট করে সিবিআইয়ের গৃহযুদ্ধের আগুনে ঘৃতাহুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দুই আধিকারিকের দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে প্রথম মুখ খুলে সিবিআইকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ নিজের টুইটার পেজে একযোগে বিজেপি ও সিবিআইকে আক্রমণ করে লেখেন, ‘‘সিবিআই এখন বিবিআই (বিজেপি ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) হয়ে গিয়েছে৷ এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক৷’’

তবে, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের দুই শীর্ষ কর্তার দ্বন্দ্ব নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেও এর আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিকবার তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাজনৈতিক স্বার্থ বিজেপি সিবিআইকে ব্যবহার করছে বলেও বারংবার অভিযোগ করেছেন মমতা৷ এমনকি, সিবিআইয়ের দপ্তর ঘেরাও থেকে শুরু করে প্রকাশ্য জনসভায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি৷ দীর্ঘদিন ধরে সিবিআইয়ের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও এভাবে স্বাধীন সংস্থার অভ্যন্তরের কঙ্কাল প্রকাশ্যে আসেনি কখনও৷ সিবিআইয়ের দুই আধিকারিকের দ্বন্দ্বও ছড়িয়ে পড়তে দেখেনি দেশ৷ ফলে, এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণ ছিল শুধুই সময়ের অপেক্ষা৷

 

[বিরোধী শিবিরে ধাক্কা, মহাজোটের জল্পনা উড়িয়ে দিলেন শরদ পাওয়ার]

সিবিআইয়ের গৃহযুদ্ধ ইস্যুতে যখন চাঙ্গা বিরোধী শিবির, ঠিক তখনই সিবিআইয়ের দুই শীর্ষ কর্তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বাধ্য হল মোদি সরকার৷ দ্বন্দ্ব  মেটাতে  অন্তর্বর্তীকালীন সিবিআই প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হল IPS নাগেশ্বর রাওকে৷ এতদিন তিনি সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তার দায়িত্বে ছিলেন৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে অলোক ভার্মা ও রাকেশ আস্থানাকে৷ নতুন নির্দেশিকার পরই সিবিআইয়ের সদর দপ্তরের ১১ ও ১২ তলা সিল করে দেওয়া হয়েছে৷ ওই দুই তলাতেই অলোক ভার্মা এবং রাকেশ আস্থানার অফিস৷ 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ