Advertisement
Advertisement

রাজ্যকে অশান্ত করার চক্রান্ত চলছে, বনধের বিরোধিতায় পথে নামবে তৃণমূল

সোমবার থেকেই জেলা জেলায় প্রচার করবেন কর্মী-সমর্থকরা, জানালেন পার্থ।

TMC will try and stop BJP's Bangla Bandh
Published by: Shammi Ara Huda
  • Posted:September 23, 2018 4:21 pm
  • Updated:April 8, 2022 11:54 am

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ইসলামপুর কাণ্ডের প্রতিবাদে আগামী বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলার বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। বনধ রুখতে তৎপর রাজ্য সরকারও। তৃণমূল কংগ্রেসে মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বনধের নামে রাজ্যকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। কিন্তু, দলের কর্মী-সমর্থকরা সেই চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেবেন।

রবিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপির কর্মনাশা বনধকে বাংলার মানুষ সমর্থন করবেন না। বাংলায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিজেপি। ২৬ তারিখ স্কুল-কলেজ, অফিস-কাছারি খোলা থাকবে। কোনওরকম প্ররোচনায় পা না দিয়ে সেই অশান্তি রুখতেই প্রতিটি ওয়ার্ড ও ব্লক থেকে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা পথে নামবেন। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মিছিল চলবে। বাস-ট্রেন চলবে না, এমন ঘটনা বাংলার মানুষ আর মেনে নেবেন না। বনধ রুখতে সোমবার থেকেই জেলা জেলায় প্রচার করবেন শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরা।’  তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইসলামপুরের দাঁড়িভিট স্কুলে গুলি চালনার ঘটনায় দোষীরা ছাড় পাবে না। কিন্তু  কোনও অবস্থায়ই বনধ বরদাস্ত করা হবে না। আগের বনধগুলিতে সরকারি কর্মীদের জন্য যা নির্দেশাবলী ছিল, তাই বলবৎ থাকবে। যারা ছাত্রদের নিয়ে এই ঘটনা ঘটালো তারা দায় অস্বীকার করছে কেন? বর্বরোচিত আচরণ করেছে বিজেপি। গোটা ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের  ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সোমবার বেলা ১২টায় নবান্নে বৈঠকে বসছেন মন্ত্রীরা।

Advertisement

[রেশনে ভিটামিনযুক্ত চাল দেবে কেন্দ্র, চিঠি রাজ্যকে]

বনধের ঘটনায় বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। তিনি বলেন, ‘বিজেপি মীরজাফর। বনধ করে বাংলাকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে। সেই চক্রান্তে রাজ্য বিজেপি এজেন্টের ভূমিকা নিচ্ছে। এমনিতেই কেন্দ্র রাজ্যের প্রাপ্য টাকা আটকে দিয়ে উন্নয়ন থমকে দিচ্ছে। এবার বনধের চক্রান্ত শুরু করেছে। ইসলামপুরে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিচ্ছে বিরোধীরা। প্রশাসন সাম্প্রদায়িক উসকানির বিরুদ্ধে পথে নামবে।’ রবিবার ইসলামপুরে যান মন্ত্রী গোলাম রব্বানি ও বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়াল। মৃত ছাত্রদের বাড়িতে পৌঁছাতেই তারা সংঘবদ্ধ জনতার ক্ষোভের মুখে পড়েন। সেখানেই গোলাম রব্বানি জানিয়েছেন, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে। স্কুল কমিটিও তদন্তের আওতার বাইরে নেই। দোষ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা হবে। এদিন মৃত ছাত্রদের বাড়িতে যান রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের একটি দলও। দলে ছিলেন মুকুল রায়, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও লকেট চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

[টালিগঞ্জে বসে যাওয়া সেতুতে যান নিয়ন্ত্রণ, দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস পুরমন্ত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ