Advertisement
Advertisement
মা উড়ালপুল দুর্ঘটনা

রাতের শহরে বেপরোয়া বাইক, মা উড়ালপুল থেকে ছিটকে মৃত্যু দুই আরোহীর

কলকাতা পুলিশের লাগাতার অভিযান সত্ত্বেও কেন বারবার এমন ঘটনা ঘটছে, উঠছে প্রশ্ন।

Two bike riders accidental death at Maa flyover on Wednesday
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:August 15, 2019 9:03 am
  • Updated:August 15, 2019 9:09 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাতের মহানগরে আলো ঝলমলে উড়ালপুল ঘিরে বিদ্যুৎগতিতে উড়ে যাচ্ছে বাইক। বাঁক ঘুরতে গিয়েই ঘটল দুর্ঘটনা। সপাটে ধাক্কা মারল ফ্লাইওভারের রেলিং-এর গায়ে। পিছনে বসা যুবক উড়ে গিয়ে রেলিং টপকে পড়লেন ৩৫ ফুট নিচে। আর চালক তখন ঝুলছেন রেলিং ধরে। সিনেমার মতো এমন এক রোমহর্ষক দৃশ্যের সাক্ষী রইল বুধবার রাতের মা উড়ালপুল। দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন মোটর বাইকের দুই আরোহী জয়দেব হাজরা (৪৫) এবং উত্তম ঘোষাল (৪৬)। 

[আরও পড়ুন: ‘অপদার্থতা’র জের, সরানো হল টালিগঞ্জ থানার ওসিকে]

বুধবার রাত তখন প্রায় সওয়া আটটা। সায়েন্স সিটির দিক থেকে বাজপাখির মতো উড়ে এল বাইকটা। বাইপাসের দিক থেকে পিটিএসের দিকে যাচ্ছিল। ‘ইউ টার্ন’ নিতে গিয়ে এক জায়গায় আচমকাই তা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। সজোরে ধাক্কা মারে সেতুর গার্ডরেলে। মুহূর্তে চালকের পিছনে বসা সওয়ারি ডিগবাজি খেয়ে উড়ালপুলের নিচে পড়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আচমকাই একজনকে উড়ালপুল থেকে নিচে পড়তে দেখে হতচকিত হয়ে পরেন পথচারীরা। মাটিতে পরেই যন্ত্রণায় ককিয়ে ওঠেন আহত ব্যক্তি। এতটাই জোরে আছড়ে পড়েন তিনি যে মাথার হেলমেট ফেটে চৌচির হয়ে যায়। দৌড়ে আসেন কর্তব্যরত এক ট্রাফিক কনস্টেবল। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে তৎক্ষণাৎ এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান, তাঁর মাথার আঘাত গুরুতর। বুকের হাড় ভেঙে গিয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে আসার কিছুক্ষণ পরেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: একই দিনে জোড়া ধাক্কা তৃণমূলের, শোভনের সঙ্গে বিজেপির পথে সব্যসাচীও!]

অন্যদিকে বাইক চালক উত্তম ঘোষালকে নিয়ে যাওয়া হয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। হাসপাতালে আনার মিনিট কুড়ির মধ্যে মারা যান তিনিও। উত্তমের বাড়ি বেহালার উপেন ব্যানার্জি রোডে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তমবাবুর দুটো পায়েরই হাড় টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল। সেতুর গার্ড রেলে ঘষে মুখের ছাল চামড়া উঠে গিয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রায় একশো কিলোমিটার গতিতে চলছিল বাইকটা। চালকরা কেউ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন কি না, খতিয়ে দেখছে ট্র্যাফিক পুলিশ৷ বুধবার স্বাধীনতা দিবস। যে কোনও উৎসবের আগে পরে বাইকচালক এবং আরোহীদের আইন ভাঙার প্রবণতা কতটা, বুধবার রাতে উড়ালপুলে মৃত্যু ফের তুলে ধরল সেই প্রশ্ন। কলকাতা পুলিশের কড়া অভিযান সত্ত্বেও বেপরোয়া বাইক চালানো বন্ধ হচ্ছে না।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ