সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের খানিকটা ধোঁয়াশা তৈরি হল পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে। মঙ্গলবার গোটা রাজ্যের চোখ ছিল হাই কোর্টের দিকে। এদিন দুটি ডিভিশন বেঞ্চে পঞ্চায়েত মামলার দুটি পৃথক রায় ঘোষণা হওয়ার কথা। যার উপর ঝুলে পঞ্চায়েতের ভাগ্য। তার একটির রায় সামনে এল। বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল ই-মেলের মাধ্যমে পাঠানো সিপিএমের সমস্ত মনোনয়নকে মঞ্জুর করতে হবে কমিশনকে। সূত্রের খবর, ই-মনোনয়ন নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের বক্তব্য, পঞ্চায়েত আইনে ই-মনোনয়নের সংস্থান নেই। তাই ই-মেলে মনোনয়নকে যদি মান্যতা দিতে হয়, তাহলে পঞ্চায়েত আইন বদলাতে হবে।
[ পাঁচিল টপকে কীভাবে পাচার হত আগ্নেয়াস্ত্র, ইছাপুরে গোয়েন্দাদের দেখাবে ধৃতরা ]
পঞ্চায়েত মামলার ক্ষেত্রে এই রায় রীতিমতো নজিরবিহীন। এদিন রীতিমতো হাই কোর্টে তোপের মুখে পড়ে কমিশন। আদালত জানায়, ই-মনোনয়ন গ্রহণ করতে অনীহা দেখিয়েছে কমিশন। যা বাঞ্ছনীয় নয়। কারণ এই মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় রক্তপাত কম হত। মনোনয়নের সংখ্যা বাড়ত। ভোটাররাও যত বেশি সংখ্যক সম্ভব প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবে। কিন্তু এক্ষেত্রে তা হয়নি কমিশনের অনীহাতেই। তাই ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় কমিশনকে। আর এরপরই বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ২৩ এপ্রিল বেলা তিনটের মধ্যে যে প্রার্থীদের মনোনয়ন ইমেল মারফত জমা পড়েছে সেগুলিকে মান্যতা দিতে হবে। সেই প্রার্থীদের নামও প্রকাশ করতে হবে।
[ নয়া নিয়ম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে, স্নাতক স্তরে কমল ফেল করার ‘ভয়’ ]
এই রায়ের ফলে ফের খানিকটা সমস্যায় পড়ল কমিশন। কেন না ব্যালট ছাপানোর ক্ষেত্রে এবার বিরাট সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। কোনও কোনও অঞ্চলে লক্ষাধিক ভোটারও আছে। সেক্ষেত্রে সব নাম প্রকাশ করে এত অল্প সময়ে ব্যালট ছাপানো সম্ভব হবে কিনা সে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। সেখানেই পঞ্চায়েত নিয়ে নতুন করে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে প্রধান বিচারপতি জ্যোতিমর্য় ভট্টাচার্যর বেঞ্চে চলছে নিরাপত্তা মামলার শুনানি। সেখানে অধীর রঞ্জন চৌধুরির মামলা করার এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের অঅযাডভোকেট জেনারেল। একজন রাজনৈতিক দলের সভাপতি হয়ে তিনি কীভাবে জনস্বার্থ মামলা করেন, সে প্রশ্ন করা হয়। এই মামলার রায়দান এখনও হয়নি। এর উপরই অনেকটা নির্ভর করছে ১৪ মে পঞ্চায়েত ভোটের ভাগ্য।