Advertisement
Advertisement

Breaking News

পার্শ্বশিক্ষক

বেতনবৃদ্ধির দাবিতে ফের পথে পার্শ্বশিক্ষকরা, আজ থেকে আমরণ অনশন

একাধিক দাবি নিয়ে সল্টলেকে ১১ নভেম্বর থেকে টানা ধরনা চলছে।

WB Para teachers to stage fast till death seeking pay hike
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:November 16, 2019 9:22 am
  • Updated:November 16, 2019 9:23 am

দীপঙ্কর মণ্ডল: বেতনবৃদ্ধির দাবিতে আমরণ অনশনের ডাক দিলেন পার্শ্বশিক্ষকরা। শনিবার থেকে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের কাছে কয়েক হাজার পার্শ্বশিক্ষক অনশনে বসবেন। শুক্রবার আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, ‘সরকার আমাদের দাবি মানছে না। তাই বাধ্য হয়ে অনশনে বসছি।’ উল্লেখ্য, সমকাজে সমবেতনের দাবিতে এই আন্দোলন। 

আদালত থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ধরনায় বসেছিলেন পার্শ্বশিক্ষকরা। পাঁচদিন পর সেই ধরনা আমরণ অনশনে গড়াল। শুক্রবার ধরনা মঞ্চে হাজির ছিলেন কয়েক হাজার পার্শ্বশিক্ষক। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি শিক্ষক আন্দোলন হয়েছে কলকাতায়। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং স্নাতক শিক্ষকদের আন্দোলন দেখেছে শহর। মূলত বেতনবৃদ্ধির দাবিতে এই আন্দোলন। একই দাবিতে ফের পথে নেমেছেন পার্শ্বশিক্ষক-শিক্ষিকারা। সল্টলেকে ১১ নভেম্বর থেকে টানা ধরনা চলছে। সেই আন্দোলন মঞ্চ থেকেই এবার আমরণ অনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে। মঞ্চের সামনে ব্যানার দিয়ে জানানো হয়েছে, এটি একটি অরাজনৈতিক মঞ্চ। তবে শাসক বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা তাঁদের সমর্থন জানিয়ে হাজির থেকেছেন। 

Advertisement

মাসখানেক আগে আগে পার্শ্বশিক্ষকদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে নদিয়ার কল্যাণীতে আন্দোলন করছিলেন পার্শ্বশিক্ষকরা। কিন্তু, রাতের অন্ধকারে তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এরপরই গোটা রাজ্যজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। কল্যাণীর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে কিছুদিন আগে বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান করার অনুমতি চেয়ে বিধাননগর পুলিশের কাছে আবেদন জানান পার্শ্বশিক্ষকরা। কিন্তু, বিধাননগর পুলিশ আইনশৃঙ্খলার দোহাই দিয়ে অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি দিচ্ছিল না। পুলিশের বক্তব্য ছিল, ওখানে বিকাশ ভবন ও জলসম্পদ ভবন-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর ও হাসপাতাল রয়েছে। ফলে পার্শ্বশিক্ষকদের অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আন্দোলনকারীরা। আদালতের তরফে দিনকয়েক আগে জানিয়ে দেওয়া হয়, বিকাশ ভবনের পাশে থাকা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তির সামনে অবস্থান করা যাবে। তবে সেখানে অবস্থানকারী পার্শ্বশিক্ষকদের সংখ্যা যেন কোনওভাবেই ৩০০ না ছড়ায়। যদি প্রতিবাদীদের সংখ্যা আরও বেশি হয় তাহলে তাঁরা যেন বিক্ষোভ স্থলের ৫০০ মিটার দূরে থাকে। আর এই কর্মসূচির প্রভাব যেন কোনওভাবেই মূল রাস্তায় না আসে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ