Advertisement
Advertisement

Breaking News

শহরের ৫ এলাকায় সরকারি ফুড জোন, মিলবে ফুচকা-ঝালমুড়ি-চপ

কোথায় কোথায় মিলবে এমন জিভে জল আনা রাস্তার খাবার?

West bengal government to create 5 food zones in Kolkata
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 13, 2018 10:17 am
  • Updated:June 13, 2018 10:17 am

স্টাফ রিপোর্টার: দই ফুচকা। ঝালমুড়ি, ভেলপুরি, বেগুনি, আলুর চপ, ধোকা। জিভে জল আনা রসনায় এবার বিদেশিদের তৃপ্ত হওয়ার পালা। উদ্যোগী রাজ্য সরকার। বিশেষ করে কলকাতায় পা-রাখা ভিনদেশিদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এখানকার ফুটপাথের খাবার যাতে স্বাস্থ্যসম্মত করে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া যায়, তার সমস্ত বন্দোবস্ত পাকা করতে প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। মহানগরীর পাঁচটি এলাকাকে চিহ্নিত করে সাজিয়ে-গুছিয়ে তোলা হবে। ধর্মতলা, ডালহৌসি, ভিক্টোরিয়া, জোড়াসাঁকো, মিলেনিয়াম পার্ক চত্বর সাজবে অচিরেই। ওইসব এলাকায় যাঁরা খাবার তৈরি করে বিক্রি করেন, তাঁদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। মঙ্গলবার নবান্নে রাস্তার খাবারের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ বৈঠক হয়। সেখানে ছিলেন স্বরাষ্ট্র ও পর্যটন দপ্তরের প্রধান সচিব অত্রি ভট্টাচার্য, পর্যটন দপ্তরের সচিব মণীশ জৈন, কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ-সহ ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের লোকজন।

[শুদ্ধিকরণের নামে আংটি নিয়ে চম্পট পুরোহিতের, থানায় অভিযোগ দায়ের গৃহবধূর]

Advertisement

কলকাতায় বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তাঁদের কাছে অবশ্য দ্রষ্টব্য ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত জোড়াসাঁকো এবং গঙ্গার পাড়ের মিলেনিয়াম পার্ক। কলকাতা ঘুরে দেখার সময় ধর্মতলা ও ডালহৌসিতে পা রাখেননি এমন মানুষ পাওয়া ভার। তাঁদের কথা মাথায় রেখে সরকার চায় সেজে উঠুক কলকাতার হকার জোন। বিশেষত যেখানে হাতেগরম জিভে জল আনা খাবার বিকোয়। এমনিতেই শহরের সর্বত্র যাতে ন্যূনতম নিরাপদ ব্যবস্থা অবলম্বন করে খাবার তৈরি হয়, সেজন্য অনেক আগেই উদ্যোগী হয়েছিল পুরসভা। হকারদের উপর সমীক্ষাও চালিয়েছিল একাধিক বেসরকারি সংস্থা। সেই সমীক্ষা জানিয়েছিল, কলকাতার দই-ফুচকা, তেলেভাজা ও ঝালমুড়ির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। বিদেশি অথবা ভিনরাজ্যের পর্যটকরা একবার হলেও এগুলি চেখে দেখতে ভোলেন না। তবে, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে তৈরি হয় না বলে তা আরও বড় বাজার ধরার সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে বারবার।

Advertisement

[বর্ষার শুরুতেই তিলোত্তমায় বিপর্যস্ত জনজীবন]

একটি বণিকসভা সর্বভারতীয় একটি হকার সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সমীক্ষা করার পর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করেছিল। তবে, তা ছিল বিচ্ছিন্ন উদ্যোগ। এবার উদ্যোগী রাজ্য সরকার নিজেই। এতে প্রথমত কলকাতার খাবার সম্পর্কে বিদেশিদের কাছে একটি বার্তা দেওয়া সম্ভব হবে, তাঁদের টেনে আনা যাবে বাণিজ্যিকভাবে। আবার সাজিয়ে তোলা যাবে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি স্থান।

ওই স্থানগুলিতে পরিকাঠামোগত সুবিধা দিতে তৈরি পুরসভা। সবচেয়ে বড় সমস্যা হল জলের। খাবার বিক্রেতারা যে জল ব্যবহার করেন, তা থেকে নানা সময় বিভিন্ন রোগ ছড়িয়েছে। বিশুদ্ধ পানীয় জল তাঁদের কাছে থাকে না বললেই চলে। চেষ্টা হবে ওই পাঁচটি স্ট্রিট ফুড ভেন্ডিং জোনে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করার। ডাস্টবিন রেখে জায়গাটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। এবং সবচেয়ে জরুরি যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা হল বিদেশিদের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করার প্রশিক্ষণ দেওয়া।

[ডাক্তারের পর কলেজ ছাত্রী, এবার মাদক পাচারের চেষ্টা দমদম সেন্ট্রাল জেলে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ