সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “দাঙ্গাকারীরা দাঙ্গা বাধিয়ে দিয়ে রাজভবনের ছাতার তলায় আশ্রয় পাওয়ার চেষ্টা করছে। রাজভবনে রাজনৈতিক দলের শাখা সংগঠনের কাজ হচ্ছে। দু’দিনও হয়নি পঞ্চায়েত ভোটের মধ্যে মনোনয়ন দেওয়া ও জমা নেওয়া শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই গেল গেল রব উঠেছে। অকথা, কুকথা, অপবাদ দেওয়া হচ্ছে তৃণমূলকে।” গত দুদিন ধরে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়ে হামলার ঘটনা ঘটছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই সম্মেলনে বিরোধী বিজেপিকে একহাত নেন। বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের মহাসচিব।
[মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রায়গঞ্জ, বিজেপির মিছিলে চলল গুলি-বোমা]
সাংবাদিক সম্মেলনে পার্থবাবু বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হতে না হতেই চারদিকে অত্যাচার, অকথা, কুকথা, শাসানোর ঘটনা ঘটছে। ভোট নিয়ে কেউ কেউ অসত্য তথ্য দিচ্ছে রাজ্যপালকে। বলা হচ্ছে, বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দেওয়ার সুযোগই পায়নি। মাত্র দুদিন হল ভোটের মনোনয়ন দেওয়া ও নেওয়া শুরু হয়েছে। ন’তারিখ পর্যন্ত চলবে। তবে দু’দিনেই গেল গেল রব উঠেছে। শাসকদল নাকি বিরোধীদের মনোনয়ন জমাই দিতে দিচ্ছে না। এদিকে দু’দিনে তৃণমূল ১৬১৪টি মনোনয়ন জমা দিয়েছে। আর বিরোধীরা দিয়েছে ১৮২১টি মনোনয়ন। যদি মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে অশান্তিই হয়ে থাকে তাহলে এই মনোনয়নগুলো বিরোধীরা কি করে জমা দিল? প্রশ্ন তুলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
তিনি আরও জানান, ‘বিজেপি তৃণমূলের নামে অপবাদ, মিথ্যাচার করে মানুষকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বাংলার মানুষকে এসব বুঝিয়ে রাখা যাবে না। এনিয়ে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছি। মারের বদলে পালটা মার দেওয়ার কথা বলছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে তোয়াক্কা করছেন না। আসলে সবসময় টিভিতে থাকতে চান। এখন গলায় গামছা দিয়েছেন। পরে গামছা কাঁধে চলে যাবে। রাজ্যে বিভাজনের রাজনীতির চেষ্টা হচ্ছে। মানুষ এসব মেনে নেবে না। বৃহস্পতিবার বেলা দুটোয় আমাদের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করবে। সকালে রাজভবনে যাওয়ারও ব্যবস্থা হচ্ছে। আমরাও রাজ্যপালকে তথ্য দেব। তাঁকে এটাও বোঝাব, দাঙ্গাকারীরা দাঙ্গা করে এসে রাজভবনের ছাতার তলায় আশ্রয় পাওয়ার চেষ্টা করছে। রাজভবনে রাজনৈতিক দলের শাখা সংগঠনের কাজ হচ্ছে। এটা মোটেও সুখকর নয়। আসলে দাঙ্গাকারী দলটি অন্যান্য রাজ্যের মতো এখানেও বহিরাগতদের দিয়ে দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে। বিজেপি প্রথমে নির্বাচন কমিশন, পরে রাজভবন, তারপরে হাইকোর্ট করে এবার সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে। কিন্তু জনতার কথা ভাবছে না। ভোটে যে জনাদেশই শেষ কথা বলে।’