Advertisement
Advertisement
টালা ব্রিজ

টালা ব্রিজ বন্ধে ভোগান্তি কমানোর উদ্যোগ, চালু বাড়তি লঞ্চ পরিষেবা

টালা ব্রিজে বন্ধে যান সমস্যায় জেরবার উত্তর শহরতলির বাসিন্দারা।

West Bengal Transport department decided to gives extra launch service

পুরনো টালা ব্রিজের ছবি

Published by: Sayani Sen
  • Posted:October 19, 2019 9:02 am
  • Updated:October 19, 2019 9:02 am

স্টাফ রিপোর্টার: টালা ব্রিজে বাস বন্ধের জেরে যান সমস্যায় জেরবার উত্তর শহরতলির বাসিন্দারা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার ঢালাও সরকারি বাস, অটো, শাটল বাস নামাচ্ছে রাজ্য। পাশাপাশি জলপথেও যাতে দ্রুত শহরে ঢুকতে পারেন বিটি রোড সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা, তাই নামানো হচ্ছে অতিরিক্ত ভেসেলও। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই পরিষেবা বাড়ানোর কথা বলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এদিন পরিবহণ দপ্তর, চক্ররেল, মেট্রো রেল এবং পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী। সেখানেই একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত হয়।

ঠিক হয়েছে, ডানলপকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রুটে ৫০টি ৩৪ সিটের মিডি বাস চলবে। এখন ২৮টি বাস চলে। ১ নভেম্বর থেকে ১০০টি শাটল বাস সার্ভিস চালু হবে ডানলপ থেকে। একইসঙ্গে ওই এলাকায় বাড়বে অটোর সংখ্যাও। এছাড়া বারাকপুর থেকে শ্যামবাজারের দিকে ম্যাজিক গাড়িও চালানো হবে। শুধু সড়কপথেই নয়, জলপথেও বাড়ছে পরিষেবা। বরানগর কুঠিঘাট থেকে ফেয়ারলি পর্যন্ত ভেসেলের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এখন দুটো ভেসেল চলে এই রুটে। সোমবার থেকে অতিরিক্ত চারটে ভেসেল নামবে। পরে বাড়িয়ে ১০টা হবে। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তা চলবে।

[আরও পড়ুন: শরীর দেখার নেশা! ভিড়ের মাঝে মহিলাদের পোশাকে ব্লেড চালাত যুবক]

মন্ত্রী এদিন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, টালা ব্রিজের কারণে সাধারণ যাত্রীদের সমস্যা যাতে না হয় তা দেখতে আমরা একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছি। সোমবার বেসরকারি বাসমালিক, ওলা-উবের, ট্যাক্সিমালিকদের নিয়েও বৈঠক করে পরিষেবা যাতে আরও বাড়ানো যায়, সেই ব্যবস্থা করা হবে। রুট ঘোরানো হলেও সরকারি বাসে কোনও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হবে না।” সরকারের তরফে মেট্রো এবং চক্ররেলের সঙ্গেও এদিন বৈঠক করা হয়েছে। মেট্রোর তরফে এখন চারটি অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হলেও সেই সংখ্যা ১০ করা হবে বলেই জানা গিয়েছে।

Advertisement

তবে সরকারের তৈরি করে দেওয়া এই মাস্টার প্ল্যান গাড়ির চালকরা মানছেন কি না তাও দেখা হবে বলে জানান মন্ত্রী। বলেন, “যাত্রী হেনস্তা যাতে না হয় সেকারণে চলবে মোটর ভেহিক্যালস ইনস্পেক্টরদের নজরদারি। বেলগাছিয়া ট্রাফিক ট্রেনিংয়ের যে অফিস রয়েছে, সেখানে ১০জন মোটর ভেহিক্যালস ইনস্পেক্টর থাকবেন টালা নিয়ে যে কোনও সমস্যা দেখার জন্য। সিসিটিভির সাহায্যেও নজরদারি চলবে। তাছাড়া এমভিআইরা বিভিন্ন রুটে ঘুরে দেখবেন, সব ঠিকঠাক হচ্ছে কি না!” ঘুরিয়ে দেওয়া রুট যাত্রীদের জানাতে কালার রুট ম্যাপ দিয়ে দেওয়া হবে হাওড়া থেকে ডানলপ পর্যন্ত। মন্ত্রী এদিন যাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, “একটু হয়তো সময় লাগবে। কিন্তু সব কিছু ঠিকঠাক হবে। মাঝেরহাট বিপর্যয় যেভাবে সামলানো হয়েছে, এখানেও তা হবে।”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ