Advertisement
Advertisement
Apple iPhone

বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো! ট্রাম্প নীতিকে হাতিয়ার করেই শুল্ক এড়াতে তৎপর অ্যাপল

সম্প্রতি ছয়টি কার্গো বিমানে ৬০০ টন আইফোন আমেরিকায় পাঠিয়েছে অ্যাপল।

6 Cargo flights carrying 600 tons of Apple iPhone to the USA

প্রতীকী ছবি।

Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:April 17, 2025 5:34 pm
  • Updated:April 17, 2025 6:08 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি ছয়টি কার্গো বিমানে ৬০০ টন আইফোন আমেরিকায় পাঠিয়েছে অ্যাপল। মার্চের শেষ সপ্তাহে ৫টি এবং এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ১টি কার্গো বিমান চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে মার্কিন মুলুকের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে। প্রতিটি বিমানে আনুমানিক ১০০ টন করে আইফোন ছিল। সেই হিসাবে ভারতে তৈরি প্রায় ১৫ লক্ষ আইফোন নিয়ে উড়ে গিয়েছে ৬টি কার্গো বিমান। বলা বাহুল্য, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতির প্রকোপ এড়াতেই তড়িঘড়ি ১৫ লক্ষ আইফোন আমেরিকায় পাঠানো হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল, কোন কৌশলে ট্রাম্পের ‘নাগপাশ’ এড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে অ্যাপল? 

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, চেন্নাই থেকে লস অ্যাঞ্জেলস, নিউ ইয়র্ক এবং শিকাগোতে উড়ে গিয়েছে ছয়টি কার্গো বিমান। ৬০০ টন আইফোনের মধ্যে রয়েছে আইফোন ১৩, আইফোন ১৪, আইফোন ১৬ এবং আইফোন ১৬ই। উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল থেকে ব্যাপক হারে শুল্ক চাপিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকায় আমদানিকৃত সকল পণ্যের ওপর গড়ে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এইসঙ্গে বিভিন্ন দেশের উপর পারস্পারিক কর চাপানো হয়েছে। ভারতের উপর ২৬ শতাংশ কর চাপালেও চিনের উপর পারস্পারিক কর ২৪৫ শতাংশে পৌঁছেছে। এরমধ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক গত ৫ এপ্রিল থেকেই কার্যকর হয়েছে। যদিও পারস্পারিক শুল্ক ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকরের কথা থাকলেও ৯০ দিনের জন্য তা স্থগিত করেছেন ট্রাম্প। চিনের ক্ষেত্রে অবশ্য যাবতীয় শুল্ক কার্যকর হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকায় আইফোন মজুতে করা শুরু করেছে অ্যাপল। সংস্থাটি চেষ্টা করছে, ৯০ দিনের স্থগিতাদেশের মধ্যে ব্যবসার ক্ষতি যতটা সম্ভব কমানো যায়। এতে করে অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক এড়ানো যাবে, ফলে বিক্রয়মূল্য প্রভাব পড়বে না। এছাড়াও বহু মার্কিন কোম্পানি প্রশাসনকে পুরনো শুল্ক নীতিতে আগাম করপ্রদানের খতিয়ান দিচ্ছে! এভাবেই বজ্র আঁটুনি থেকে ফস্কা গেরোর রাস্তা বের করছে অ্যাপলের মতো বহু সংস্থা।   

Advertisement

উল্লেখ্য, যদি অ্যাপল তাদের সিংহভাগ আইফোন আমেরিকাতে তৈরি করা শুরু করে, তবে লাফিয়ে বাড়বে দাম। কারণ মার্কিন মুলুকে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। সেই কারণেই আমেরিকার সংস্থা হলেও অ্যাপলের সিংহভাগ আইফোন তৈরির ইউনিট রয়েছে আমেরিকার বাইরে। এতদিন যাবৎ প্রতি বছর বিক্রি হওয়া আইফোনের সিংহভাগ তৈরি হত চিনে। যদিও গত কয়েক বছরে চিন-নির্ভরতা অনেকটা কমিয়েছে অ্যাপল। বিকল্প গন্তব্য হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ভারত এবং ভিয়েতনামকে। ভারত এখন অ্যাপলের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রোডাকশন বেস। বিশ্বে মোট উৎপাদিত আইফোনের প্রায় ১৫ শতাংশ ভারতে তৈরি হয়। অন্যতম কারণ প্রথম বিশ্বের তুলনায় শ্রমের খরচ কম। যদিও এই সমস্ত অঙ্ক গুলিয়ে যাচ্ছে ট্রাম্পের শুল্কবাণের পরে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement