সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুখী সম্পর্কের চাবিকাঠিই হল যোগাযোগ। স্পষ্ট, খোলাখুলি কথা না বললে কোনও সম্পর্কই মজবুত হয় না। বরং এতেই বাড়ে দূরত্ব। যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন ধরায় হাসিখুশি সম্পর্কে। অনেক সুস্থ-স্বাভাবিক সম্পর্ক শেষ হয়ে যায় ‘ড্রাই বেগিং’-এর চক্করে! জানেন কী এই ‘ড্রাই বেগিং’?
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কের সঙ্গে জুড়ে যাচ্ছে নতুন নতুন শব্দ। যেমন সিচুয়েশনশিপ, ন্যানোশিপ, ঘোস্টিং। সেই রকমই নবপ্রজন্মেরই একটা শব্দ এই ‘ড্রাই বেগিং’। বিষয়টা ঠিক কী? আপনি সম্পর্কে রয়েছেন। হতে পারে বিবাহিত, বা চুটিয়ে প্রেম করছেন। হয়ত সঙ্গীকে কিছু বোঝাতে চাইছেন। বা সঙ্গীর থেকে কিছু আশা করছেন, কিন্তু তা মুখে বলতে নারাজ আপনি। অর্থাৎ উলটো দিকের মানুষটাকে অনেক কিছু বোঝাতে চাইলেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন। কখনও আবার ইঙ্গিতে এমনভাবে পার্টনারকে কিছু বলছেন, যাতে তিনি খানিকটা বাধ্য হয়েই আপনার দাবি পূরণ করছেন। যা সম্পর্কের জন্য মোটেই ইতিবাচক নয়।
কেন সম্পর্কের জন্য নেতিবাচক এই ‘ড্রাই বেগিং’?
প্রথমত, খানিকটা বিরক্তি থেকেই এই ‘ড্রাই বেগিং’য়ের সূচনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সঙ্গী যখন সরাসরি নিজের মনের কথা বা দাবি সরাসরি না বলে অন্য পন্থা নেন, তার অর্থ হল দুজনের মাঝে একটা অদৃশ্য দেওয়াল তৈরি হয়েছে। যা তৎক্ষণাৎ না ভাঙলে ক্রমশ শক্তপোক্ত হবে মাঝের প্রাচীর। অনেকেই বুঝতে পারেন না যে তিনি ‘ড্রাই বেগিং’য়ে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন। স্রেফ সরাসরি মনের কথা বলতে দ্বিধা বোধ করায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন অনেক কিছু। মনে রাখবেন, আপনার এধরনের আচরণে সঙ্গীর মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাঁর মনে হতে থাকে, সঙ্গী দূরে সরে যাচ্ছে।
সমাধানের উপায়
মনে রাখবেন, ড্রাই বেগিং কারও সহজাত প্রবৃত্তি নয়। পরিস্থিতি বুঝে অনেকে এধরনের আচরণ করেন। ফলে নিজেকে বদলে নেওয়া মোটেই কঠিন কাজ নয়। তাই বাঁকা পথে নয়, সোজাসুজি কথা বলুন সঙ্গীর সঙ্গে। তাতে সমস্যার সমাধান তো হবে, বরং পোক্ত হবে সম্পর্কের ভিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.