সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ষার মরশুম চলছে। এই সময় পাতুরির নাম করলেই কেমন যেন ইলিশের গন্ধ পাওয়া যায়। উঁহু, তবে আজ আর ইলিশ নয়। একটু ভিন্ন স্বাদের পাতুরির কথা বলি। টানা বৃষ্টিতে জল জমেছে রাস্তায়। কেমন একটা ঝিম ধরা ভাব। অফিস কেটে বাড়িতেই রয়েছেন অথচ বৃষ্টির কারণে বাজারেও যেতে পারেননি। তাইবলে পেট তো শুনবে না। তা ছাড়া খাদ্যরসিক বাঙালি বর্ষার দিনে না খেয়ে কাটাবেন, এতো বড়সড় অন্যায়। ঘরে যা আছে তাই দিয়েই যদি অভিনব কিছু তৈরি হয় ক্ষতি কী। আজ রইল ওপার বাংলার জিভে জল আনা পদ মুসুর ডালের পাতুরি।
[বর্ষার রসনায় পাতে থাক সুস্বাদু লোটে মাছের ঝুরো]
উপকরণ
এক কাপ মুসুর ডাল, পাঁচটি কুচনো পেঁয়াজ, একটা গোটা রসুন কুচি, এক টেবিল চামচ রসুন বাটা, দুটি টমেটো কুচনো। স্বাদ অনুযায়ী কাঁচা লঙ্কার কুচি, কুচনো ধনেপাতা, পরিমাণ মতো লবন, হলুদ ও সর্ষের তেল।
কীভাবে বানাবেন?
এমনিতেই পাতুরিতে তেল কম লাগে। এক্ষেত্রেও তার কোনও ব্যতিক্রম নেই। শুধু বৃষ্টি মাথায় করে একটা ঝকঝকে কলাপাতা খুঁজে এনে ধুয়ে রাখুন। তারপর সোজা রান্নাঘরে। মুসুর ডালটা আধঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে মিক্সিতে পেস্ট করে নিন। শিলেও বেটে নিতে পারেন। এরপর বাটা ডাল কুচনো পেঁয়াজ, রসুন, লঙ্কা, ধনেপাতা, টমেটো, হলুদ, নুন, তেল ও বাটা রসুন দিয়ে ভাল করে মাখুন। মাখা হয়ে গেলে মিশ্রনটিকে মিনিট দশেক ঢেকে রেখে দিন।
[বৃষ্টির দুপুরে সাদা ভাতের সঙ্গে পালং ইলিশ, ফাটাফাটি যুগলবন্দি]
এরপর সংগ্রহ করে আনা কলাপাতাটিতে ভাল করে তেল মাখিয়ে নিন। তেল চকচকে কলাপাতায় ঢেকে রাখা মিশ্রনটি ঢেলে দিন। এরপর পাতার উপরে সমান করে পাতিয়ে দিন। কাজ সম্পূর্ণ হলে লো ফ্লেমে গ্যাস জ্বালিয়ে ফেলুন। তাওয়া বসিয়ে অপেক্ষা করুন। সামান্য তেতে উঠলেই তাওয়ায় বেশ কয়েকটি কলাপাতা পরপর পেতে দিন। এবার ডালের মিশ্রন সমেত কলাপাতা চাপিয়ে দিনে তার উপরে। তাওয়াটা অবশ্যই ঢেকে দেবেন। এরপর ওই লো ফ্লেমেই দশ মিনিট রান্না হতে দিন। তারপরেই মিশ্রন সমেত কলাপাতাটি উলটে ফের তাওয়ায় বসিয়ে দিন। ফের ঢেকে দিয়ে আরও তিন থেকে চার মিনিট অপেক্ষা করুন। সময় পেরোলেই গ্যাস নিভিয়ে দিন। ঢাকনা সরিয়ে উপকরণ থেকে তুলে রাখা খানিকটা কুচনো ধনেপাতা ছড়িয়ে দিন। ফের কিছুক্ষণ ঢাকা দিয়ে রাখুন। এরপর গরম ভাতের সঙ্গেপরিবেশন করুন পোড়া কলাপাতার স্মোকি ফ্লেভারওয়ালা ডাল পাতুরি। বর্ষার দুপুরটা জমে যাবে। হলফ করে বলতে পারি।