Advertisement
Advertisement

Breaking News

polba pool car incident

পোলবার দুর্ঘটনা মিলিয়ে দিল চিন আর বাংলাকে, সৌজন্যে এক ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’ যন্ত্র

কীভাবে কাজ করছে মেশিন?

pool car plunged into ditch, injured kids admitted to sskm
Published by: Avirup Das
  • Posted:February 15, 2020 9:10 pm
  • Updated:February 15, 2020 9:10 pm

অভিরূপ দাস: পোলবার পুলকার দুর্ঘটনায় মিলে গেল চিন আর পশ্চিমবঙ্গ! অবাক লাগলেও সত্যি। সৌজন্যে এক মৃত্যুঞ্জয়ী যন্ত্র। ECMO মেশিন। দুই স্কুল পড়ুয়া ঋষভ সিংহ আর দিব্যাংশু ভগতকে এসএসকেএমে বাঁচিয়ে রেখেছে এই যন্ত্রই। ইসিএমও, পুরো কথায় একস্ট্রা কর্পোরাল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন।

শুক্রবার হুগলির পোলবায় স্কুল ছাত্রদের নিয়ে নয়ানজুলিতে পড়ে যায় পুলকার। এরপর গুরুতর আহত দুই ছাত্রকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই শিশুকে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান, ফুসফুসে কাদা জল ঢুকে গিয়েছে। মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। ফুসফুস কাজ না করায় সমস্ত কোষে অক্সিজেন পৌঁছচ্ছে না। এক্ষেত্রে বাঁচাতে গেলে প্রয়োজন এই মেশিনেরই। তড়িঘড়ি একমো যন্ত্রের সাহায্য নেওয়া হয়। উল্লেখ্য চিনে করোনা ভাইরাস চিকিৎসাতেও এই একমো মেশিনের যন্ত্র ব্যবহার হচ্ছে। 

Advertisement

করোনা ভাইরাসের ছোবলে নিউমোনিয়া হয়ে ফুসফুস ফুলে গিয়েছে অনেকের। অকেজো ফুসফুসকে সচল রেখেছে  একস্ট্রা কর্পোরাল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন মেশিন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এই মেশিন আদতে একটা কৃত্রিম ফুসফুসের কাজ করে। কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রথম ব্যবহার হয়েছিল এই মেশিন। দাম ৪০ লক্ষ টাকা। শরীরে হার্ট বা ফুসফুস যখন কাজ করতে পারে না তখন এই মেশিন ব্যবহার অবশ্যম্ভাবী।

Advertisement

ধীরে ধীরে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে দিব্যাংশু আর ঋষভ। ফুসফুস কাজ না করলে শরীরের রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে ওঠানামা করে। তাকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এই মেশিন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ফুসফুস কাজ না করায় দিব্যাংশু আর ঋষভের শরীরে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছিল। ভেন্টিলেটরের সার্পোট দিয়েও ফুসফুস স্বাভাবিক কাজ করতে পারছিল না। বাধ্য হয়েই এই একমো মেশিনের ব্যবহার করা হয়। এই যন্ত্র শরীর থেকে দূষিত রক্ত বাইরে বের করে আনে। সেই রক্তকে পরিশ্রুত করে ফের তাকে শরীরের মধ্যে চালান করে।  কতটা রক্ত কি ফ্লোতে বার করা হবে সবটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায় এই মেশিনের মাধ্যমে।

কীভাবে কাজ করছে মেশিন? রক্ত এসে প্রথমে কৃত্রিম হার্টে মেশে। সেখান থেকে রক্ত ফিরে যায় আর্টিফিশিয়াল মেমব্রেনে। বাইরে থেকে এক্সট্রা অক্সিজেন রক্তে যুক্ত করা যায়। তারপর সেই পরিশুদ্ধ রক্তকে শরীরের মধ্যে ঘোরানো হয়। এসএসকেএম-এর সুপার রঘুনাথ মিশ্র জানিয়েছেন, ফুসফুসের অবস্থা খারাপ এমন রোগীর ক্ষেত্রে এই যন্ত্র উল্লেখযোগ্য। সবচেয়ে বড় কথা হাসপাতালের ভিতরে ছাড়াও এই যন্ত্রে অন্যান্য জায়গাতেও ব্যবহার করা যায়। কতদিন পর্যন্ত রোগীকে চাঙ্গা রাখতে পারে এই যন্ত্র? এমনও হয়েছে এই যন্ত্রের সাহায্যে দু’ মাস পর্যন্ত সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে ফুসফুসকে।

[আরও পড়ুন: মেয়াদ উত্তীর্ণ ‘আনফিট’ গাড়িই পুলকার! পোলবা কাণ্ডে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ