Advertisement
Advertisement
Water

দাঁড়িয়ে জলপান করেন? সাবধান না হলেই বিপদ! কী বলছেন পুষ্টিবিদরা?

জলপানের বিষয়ে কোন সাবধানবাণী শোনালেন পুষ্টিবিদরা?

Should you drink water while standing? Nutritionist reveals it can be harmful

ছবি সংগৃহীত

Published by: Manasi Nath
  • Posted:April 1, 2025 6:10 pm
  • Updated:April 1, 2025 6:11 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  জলের অপর নাম জীবন। চিকিৎসক, পুষ্টিবিদরা আমাদের দেহে জলের ভারসাম্য রক্ষার ব্যাপারে সর্বদা নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন। একটা প্রচলিত ধারণা যে, দাঁড়িয়ে জলপান করলে নাকি দেহের জয়েন্টগুলোতে প্রভাব পড়তে পারে এবং ব্যথা হতে পারে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বলা হয়ে আসছে যে, দাঁড়িয়ে নয় জলপান করতে হবে বসে। কিন্তু এই প্রচিলত ধারনার পিছনে কি আদৌ কোনও বিজ্ঞান আছে? নাকি সবটাই অলীক কল্পনা!

ডায়েটিশিয়ান জুহি অরোরা সদ্য একটি রিল শেয়ার করে এই বিষয়ে কথা বলেছেন। তাঁর মতে, এটি আসলে একটি গুজব। ভিডিওতে জুহি বলেছেন, “যদিও এই গুজবগুলি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ঘুরপাক খাচ্ছে, এর পিছনে কোনও বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই।” তাঁর মতে “আমরা জল পান করি, তা খাদ্যনালী দিয়ে পাকস্থলীতে যায়। দাঁড়িয়ে জল পান করলে হাঁটুর উপর প্রভাব পড়তে পারে, এই ধারনাটিতে বাস্তবতার চেয়ে মিথের প্রভাব বেশি। দাঁড়িয়ে জল পান করলে হাঁটুর স্বাস্থ্যের উপর সরাসরি প্রভাব পড়ে, এমন কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তবে, মানুষের বিশ্বাস দাঁড়িয়ে জল পান করলে তা খুব দ্রুত পেটে শোষিত হতে পারে, যা অস্বস্তি বা বদহজমের কারণ হতে পারে। কিন্তু এটি কোনওভাবে হাঁটুর স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত নয়।” 

Advertisement

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে, দিল্লির অ্যাপোলো স্পেকট্রারের জেনারেল ফিজিশিয়ান ডাঃ বিপুল রাস্তোগি বলেছিলেন, “দাঁড়িয়ে জলপান করা ক্ষতিকর।” তাঁর মতে “আমরা যখন দাঁড়িয়ে জল পান করি, তখন জল দ্রুত খাদ্যনালীতে প্রবেশ করে এবং তারপর পেটে গিয়ে হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়। এরফলে স্নায়ুগুলির ওপর চাপ পড়ে। যা দেহে তরল পদার্থের ভারসাম্য নষ্ট করে। এর প্রভাবে সময়ের সঙ্গে জয়েন্টগুলিতে তরল জমা হতে পারে, যার ফলে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগ বাঁধতে পারে শরীরে।”

ডঃ বিপুল রাস্তোগি আরও বলেছেন, “আমরা যখন দাঁড়িয়ে জল পান করি, তখন প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং ভিটামিন পরিপাকতন্ত্রে পৌঁছয় না। দাঁড়িয়ে জল পানের সময়, উচ্চ চাপে তরল পদার্থটি কোনও পরিস্রাবণ ছাড়াই পেটের নীচের অংশে চলে যায়। এর ফলে অতিরিক্ত জল মূত্রাশয়ে জমা হয় এবং কিডনির কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।” দুই ভিন্ন মতের দ্বন্দ্বে আমাদের বিচলিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে কোনও দ্বিধার অবকাশ না রেখে সচেতনতা অবলম্বন করাই স্বাস্থ্য রক্ষার চাবিকাঠি হতে পারে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement