Advertisement
Advertisement

Breaking News

শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়াম কম? নিজেকে ঠিক রাখবেন কীভাবে?

জেনে নিন কী বলছেন চিকিৎসকরা।

how to save yourself when your body don't have enough potassium and sodium
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 28, 2017 3:12 pm
  • Updated:July 28, 2017 3:12 pm

জল কতটা খাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে সোডিয়াম—পটাশিয়ামের মাত্রা ঠিক থাকছে কি না। ভারসাম্যের তারতম্য হলেই ভুলের বাতিক, কোমা, খিঁচুনি পর্যন্ত হতে পারে। কীভাবে সুস্থ থাকবেন? ডা. সুরেশ রামাসুব্বান-এর কাছে খোঁজ নিলেন জিনিয়া সরকার

মেশিনের মতো ছুটে চলা শরীরে শক্তি জোগাচ্ছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল। যা স্বাভাবিক নিয়মেই শরীর তৈরি করে নেয়। হঠাৎ করেই এগুলির মাত্রার অসামঞ্জস্যতায় থমকে যেতে পারে জীবনের গাড়ি। মিনারেলের অভাব হলে তা নিমেষের মধ্যে বোঝা দরকার। মাত্রা বজায় রাখতে ঠিকঠাক খাদ্যাভাস মেনে চলতে হবে। অবহেলা নয়। হঠাৎ সোডিয়াম পটাশিয়াম কমে যাওয়া কিন্তু জটিল রোগের কারণ।

Advertisement

[জানেন, পুজোর আগে শহরের নতুন স্টাইল স্টেটমেন্ট কি?]

কেন দরকার?
এটি খুব প্রয়োজনীয় ইলেকট্রোলাইট যা শরীরের কোষের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখে। সোডিয়াম কোষের মেমব্রেম ঠিকঠাক ভাবে তৈরি হতে সাহায্য করে। যদি মেমব্রেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা হলে কোষের ক্ষতি হয় মারাত্মক। তেমনই আমাদের বেঁচে থাকতে যে উপযুক্ত মিনারেল প্রয়োজন তা মেটায় পটাশিয়াম। রোজ ৭০-৮০ এম ই কিউ সোডিয়াম প্রয়োজন। সোডিয়াম রক্তে মেশে। বেশিমাত্রায় রক্তে থাকে। কোষের মধ্যে প্রবেশ করে খুব অল্প। পটাশিয়াম (রোজ ৬০ এমইকিউ) বেশি কোষের ভিতরে থাকে। রক্তে মেশে কম মাত্রায়। এই সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রার সামঞ্জস্যতাই কোষকে সুস্থ ও প্রাণবন্ত রাখে। বিশেষজ্ঞের কথায়, এই দুটি ছাড়া জীবন অচল।

Advertisement

আশঙ্কা: সোডিয়াম, পটাশিয়ামের অসামঞ্জস্যতা থাকলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পরে মানসিক দিকে। ব্রেনসেল কাজ করে না। ভুলে যাওয়ার সমস্যা, ভাবাচ্ছন্ন অবস্থা হয়, খিঁচুনি হয়। খুব বাড়াবাড়ি হলে রোগী কোমায় চলে যেতে পারে। বয়স্কদেরই সোডিয়ামের মাত্রার অসামঞ্জস্যতা দেখা যায়। যাদের স্ট্রোক, ট্রমা, খিঁচুনির সমস্যা রয়েছে তাদের শরীরে খাবারের মাধ্যমে সোডিয়াম ঠিকমতো দ্রবীভূত হয় না। এঁরা সতর্ক হন। যে কোনও বয়সেই হঠাৎ করে মাত্রা কমে গেলে বিপদ।

[JioPhone-এ মিলবে না এই ফিচারটি, মাথায় হাত অনুরাগীদের]

কারা আক্রান্ত?
সব বয়সিদের জন্য রক্তে সোডিয়ামের স্বাভাবিক মাত্রা হল ১৪০ মিলিগ্রাম/ ডিএল। পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে যে হরমোন নির্গত হয় তা পরিবর্তিত হয়ে এডিএইচ হরমোনে পরিণত হয়। এই হরমোনই শরীরে জল ও নুনের পরিমাণ ঠিক রেখে সোডিয়ামের মাত্রা বজায় রাখে। ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর এই হরমোনের সমস্যা হয়। যাঁরা খুব বেশি বিয়ার খান তাদের এই হরমোনের সমস্যা দেখা যায়। কোনও মানসিক রোগ, কিডনি ফেলিওর, শরীরে জলের মাত্রা বেশি হলে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যায়। ডায়েরিয়া হলে, খুব বমি ইত্যাদির সমস্যায় শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। তবে, ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ থাকলে তার সঙ্গে সোডিয়ামের মাত্রার হেরফের হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।

কী খেলে উপকার পাবেন: স্বাভাবিক নিয়মে শরীর নিজের মতো কাজ করে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখে। যখন অসুস্থতার কারণে অথবা অন্য শরীরিক সমস্যার জন্য সোডিয়ামের মাত্রার মধ্যে অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয় তখন জরুরি সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। নর্মাল ডায়েট মেনে চললেই শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রা ঠিক থাকে। পর্যাপ্ত সবজি ও ফল খান। কলা, পেয়ারা, ডাবে বেশি মাত্রায় পটাশিয়াম থাকে। সোডিয়াম সাধারণ সমস্ত খাবারের মধ্যেই যথেষ্ট থাকে। তবে শুধু নুন খেয়ে সোডিয়ামের অভাব মেটে এই ধারণা ভুল। এতে কিডনির ক্ষতি হয় মারাত্মক। রোজ তিন লিটার জল খান। এর থেকে কম অথবা বেশি হলে জলের মাত্রা বেশি হয়ে সোডিয়াম পটাশিয়ামের অসামঞ্জস্যতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

যোগাযোগ ০৩৩ ৬০৬০১০৬৬

আরও জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

[জিভে জল আনা ইলিশের পদ সাজিয়ে হাজির ‘ওহ! ক্যালকাটা’]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ