প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেপরোয়া যানশাসনে এবার আরও কড়া হচ্ছে পরিবহণ দপ্তর। বাসের রেষারেষি বন্ধে চালকদের গতিবিধিও স্ক্যানারের আওতায় আনা হচ্ছে। আগামী দিনে স্টিয়ারিং ধরার আগে চালককে তাঁর ফোন থেকে কিউ আর কোড স্ক্যান করতে হবে। তৎক্ষণাৎ তা পরিবহণ দপ্তরের আইটি স্ক্যানারে চলে আসবে। এরপর যাত্রাপথে কোনও দুর্ঘটনা, রেষারেষি অথবা ট্রাফিক সিগন্যাল ভাঙার মতো ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে পরিবহণ দপ্তরের কাছে খবর চলে আসবে। সেইমতো সতর্ক করা হবে চালককে।
প্রথম দফায় পাইলট প্রোজেক্টে দমদম বিমানবন্দর থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে যাওয়া ১২টি রুটে সরকারি এবং ১০টি বেসরকারি বাসরুটে এই পদ্ধতি চালু হতে চলেছে। পাশাপাশি এই বাসগুলোকে আনা হবে যাত্রীসাথী অ্যাপের আওতায়। যার ফলে যাত্রীরা অ্যাপের মাধ্যমে জানতে পারবেন বাসগুলোর অবস্থান। সোমবার কলকাতা পুরসভায় মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার এবং বিধাননগর এবং হাওড়া পুরনিগমের প্রতিনিধি এবং বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
একই সঙ্গে এই রুটগুলোয় প্রত্যেক বাসস্ট্যান্ডে এলইডি স্ক্রিন বসানো হবে বলে ঠিক হয়েছে। ফলে যাত্রীরা বাস স্টপেজে দাঁড়িয়ে জানতে পারবেন, কোন বাস কতক্ষণ পর স্টপেজে আসবে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘একটা অ্যাপ তৈরি হবে। আপাতত ১২টা রুটে বাস ট্রাফিক রুল ভাঙছে কি না, আইটি বিভাগ তাতে কঠোর নজরদারি চালাবে। এই অ্যাপ তৈরি করছে কলকাতা পুরসভা এবং পরিবহণ দপ্তরের আইটি বিভাগ। কোন বাস ঠিক কখন আসবে, বাস স্ট্যান্ডে তা ডিসপ্লে হবে। বাস স্ট্যান্ডকে সৌন্দর্যায়ন করার কাজ করবে কলকাতা পুরসভা।’’
পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানান, নতুন অ্যাপ চালু করার আগে ১২টা রুটে ড্রাইভারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। দু-একমাসের মধ্যে এই অ্যাপ তৈরির কাজ হয়ে যাবে। জিপিএসের মাধ্যমে বাসগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হবে। যার মাধ্যমে বাসের চালকদের অবস্থান দেখা যাবে। পাশাপাশি বাস স্ট্যান্ডগুলিকে আধুনিকীকরণ করা হবে, যাতে বাস স্ট্যান্ডে বর্ষাকালে বা চড়া রোদে দাঁড়াতে সমস্যা না হয়।
মন্ত্রীর কথায়, সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফে প্রকল্পে অনেক দুর্ঘটনা কমেছে। আরও কমাতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান দুর্ঘটনামুক্ত শহর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা একটা অ্যাপ তৈরি করব। ড্রাইভারদের গতিপ্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। দু-তিন বার বলার পরে ড্রাইভার না মানলে তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে। আপাতত পরীক্ষামূলক ভাবে এটা শুরু করা হবে।
এ তো গেল দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ। এ ছাড়াও যাত্রীদের জন্য কোন রুটের বাস কখন আসবে, তখন কোথায় অবস্থান করছে, এব সব ডিসপ্লে বোর্ডে প্রর্দশিত হবে। মেয়র বলেন, ‘‘দ্রুত কলকাতা বিধাননগর এবং হাওড়াকে সুন্দর এবং আরও গতিশীল করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’’ জানা গিয়েছে, এয়ারপোর্ট-হাওড়া, এয়ারপোর্ট-নবান্ন, এয়ারপোর্ট-হাওড়া ময়দান, বারাসত-হাওড়া, গড়িয়া-রাজচন্দ্রপুর, গলফগ্রিন-এয়ারপোর্ট, গড়িয়া-এয়ারপোর্ট, রাজচন্দ্রপুর-করুণাময়ী, হাওড়া-ছোট ফিঙা, করুণাময়ী-বারাসত, কুঁদঘাট-এয়ারপোর্ট, এই রুটগুলোকে আপাতত যাত্রীসাথী অ্যাপের আওতায় আনা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.