সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিক কোন সময় মিলন ঘটলে আরও বেশি তৃপ্ত হওয়া যায়? শরীর-মন আরও বেশি ফুরফুরে লাগবে? প্রশ্নটা ঘুরপাক খায় অনেকের মাথাতেই। রাতের বিছানার স্বস্তি কি দিনের অন্য সময়ও মেলে? স্বাস্থ্যের জন্য তা কি আদৌ ভাল? সঠিক উত্তর জানতে হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া উপায় নেই। অথচ চেম্বারে ঢুকলেই কুণ্ঠা-লজ্জায় মাখামাখি হয়ে প্রশ্নরা সব সেঁধিয়ে যায় পেটের ভিতরে।
আসলে কোনও বিশেষ লগ্নের দরকার নেই। দিনক্ষণ-পাঁজি দেখারও নেই প্রয়োজন। রতিক্রিয়া খাওয়াদাওয়া, ঘুমের মতোই স্বাভাবিক জৈবিক যাপন। ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির মতো কামেন্দ্রীয় যে কোনও সময়ই জেগে উঠতে পারে। আর তার স্বাভাবিক নিঃসরণও সকাল-দুপুর-রাত-ভোরের হিসাবে বদলায় না।
[বাড়িতে পোষা কুকুর, বিড়াল আছে? জানেন নিজের কী ক্ষতি করছেন?]
শুধুই কি রাতে?
মোটেই না। রাতের একঘেঁয়েমি কাটাতে সাত সকালেই সোহাগের চুমু এঁকে দিতে পারেন পার্টনারের শরীরে। তারপর গভীর আদরে মগ্ন হওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র। যৌনতা নিয়ে গবেষণাকারী মার্কিন গবেষক জেসিকা ও’রেইলির বক্তব্য, শরীরে আরও এনার্জি বাড়াতে, সারাদিন মন ঝরঝরে রাখতে সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ যৌন মিলন করা ভাল। এর বৈজ্ঞানিক কারণ ব্যাখ্যায় গবেষকের দাবি, সকালে টেস্টোস্টেরন হরমোন ও এনার্জি লেভেল অনেক বেশি থাকে। তাই এই সময় মিলন ঘটলে অক্সিটোসিনের মাত্রাও অনেক বাড়ে। যার ফল হিসাবে সারা দিন সঙ্গীর প্রতি আকর্ষণও থাকে। দু’জনের মধ্যে মধুর সম্পর্ক বজায় থাকে। মেজাজও থাকে ভাল।
ফ্লু এড়াতে:
সঙ্গম করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তার মানে এই নয়, জ্বর হলেও ঘনিষ্ঠতা জরুরি। কিন্তু যে সময়ে ফ্লু বা ভাইরাস প্রকোপ বাড়ে সেই সময় নিয়মিত সঙ্গম করলে অসুখ করার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে।
প্রেগন্যান্সি চাইলে:
এ ক্ষেত্রে যৌন সুখের চেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়, মহিলার শরীর থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণ ও নিষিক্ত হওয়ার ঘটনাটি। স্বাভাবিক অবস্থায় সাধারণত মহিলার মাসিক চক্র ২৮ দিনের হয়। এই নিয়ম মেনে মাসিক শুরু হওয়ার প্রথম দিনকে একদিন ধরলে সাধারণত ১৩তম দিনে সন্তানধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এই দিনটিকে ‘ওভিউলেশন ডে’ বলে৷ অর্থাৎ এই দিনেই মহিলাদের একটি ওভারি থেকে একটি ডিম্বাণু বের হয়। ডিম্বাণুর আয়ু যেহেতু ৪৮ ঘণ্টা ও শুক্রাণুর ২৪ ঘণ্টা তাই ‘ওভিউলেশন ডে’র একদিন আগে অর্থাৎ ১২তম দিন থেকে একদিন পরে অর্থাৎ ১৪তম দিন পর্যন্ত গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি৷ তবে যাঁদের মাসিকের নিয়মিত চক্র বজায় থাকে না অর্থাৎ ২৮ দিনের পরিবর্তে ৩০ অথবা ৩২তম দিনে চক্র হয় তাঁদের ‘ওভিউলেশন ডে’ বদলায়। এক্ষেত্রে এত সহজে নিশ্চিত করে ‘সেক্স ক্যালেন্ডার’ তৈরি করা যায় না। তবে তাঁদের জন্য ওভিউলেশন কিট বাজারে কিনতে পাওয়া যায়৷ এই কিটের সাহায্যে পরীক্ষা করে নিজের ‘ওভিউলেশন ডে’ জেনে নেওয়া যায়।
শরীরচর্চার পর:
ওয়ার্কআউট করা পেশিবহুল, ঘামে ভেজা চকচকে চেহারা আকৃষ্ট করে নারীকে। ঠিক তেমনই শরীরচর্চার পর পুং-দেহ থেকে নিঃসৃত হতে থাকে যৌন চাহিদা বর্ধক হরমোন টেস্টোস্টেরন। জিমে ২০ মিনিট সাইক্লিং করলে পুরুষের যৌনাঙ্গে রক্তচলাচলের গতি ১৬৯ শতাংশ বেড়ে যায়। তাই শরীরচর্চার পর বেডরুমে ঢুকলে বিছানা সুখ চরম পাওয়া যায় বলে দাবি টেক্সাস ইউনিভার্সিটির একদল গবেষকের।
এছাড়াও কোনও ভয়ের সিনেমা দেখার পর বা কোনও কারণে খুব দ্রুত অ্যাড্রেলিন নিঃসৃত হলে যৌন চাহিদা বাড়ে। শরীর দ্রুত জেগে ওঠে। আবার খুব রেগে গেলে বা খারাপ দিন কাটার জন্য অবসাদে থাকলে সঙ্গমের পর মুড ভাল হয়ে যায়।
[এই পাঁচটি বিষয় স্বীকার করতে লজ্জা পান পুরুষরা]