সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছোট্ট সংসার। বাবা-মা আর এক সন্তান। বাবা-মা আবার চাকুরিরত। দেখভালের লোকের কাছে একা বেড়ে ওঠা বহু খুদের আচরণগত নানা সমস্যা দেখা যায়। বিশেষত অল্পতেই রেগে যাওয়ার সমস্যা কিংবা অতিরিক্ত জেদি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। ওই পরিস্থিতিতে কীভাবে সন্তানকে সামলাবেন, তা বুঝতে পারেন না অনেক বাবা-মা। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, খুব সামান্য কয়েকটি সোজা পন্থা অবলম্বন করলেই কেল্লাফতে।
কখনও ভুললে চলবে না, আপনিই সন্তানের রোল মডেল। কোন পরিস্থিতিতে আপনি কেমন আচরণ করছেন, তা দেখেই সন্তান বেড়ে ওঠে। তাই খুব রেগে চিৎকার করার প্রবণতা থাকলে, তা এখনই পরিত্যাগ করুন। যেকোনও পরিস্থিতিতে শান্তভাবে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করুন।
সন্তানের সঙ্গে সঙ্গে আপনিও রেগে যাবেন না। সন্তান মেজাজ হারালো মানেই আপনাকে চিৎকার করতে হবে, তা কিন্তু নয়। প্রথমে খুদেকে শক্ত করে বুকে জড়িয়ে ধরুন। দেখবেন, তাতেই সে খানিক নিজেকে সামলে নিয়েছে।
এরপর সে কেঁদে ফেলতে পারে। আপনি তাকে বকাঝকা করে কান্নাকাটি করতে বারণ করবেন না। অনেক বাবা-মা বিশেষত তাঁদের শিশুপুত্রকে বলে থাকেন, ‘ছেলেরা আবার কাঁদে নাকি?’ এই কথা ভুলেও বলবেন না। বরং সেই সময় তাকে এড়িয়ে চলুন। নিজের মতো কিছুটা সময় কাটাতে দিন।
আপনার খুদে কিছুটা শান্ত হয়ে যাওয়ার পর পরিস্থিতি সম্পর্কে বোঝান। যে বিষয়টিতে সে এত রেগে গেল, কান্নাকাটি করল – তা ঘটনাক্রম মিলিয়ে আলোচনা করুন। খুদেকে বোঝান সেই সময় সে যা আচরণ করল, তা হয়তো করার প্রয়োজন ছিল না। অন্য কৌশলেও যে ওই পরিস্থিতি সে সামলাতে পারত, তা বুঝিয়ে বলুন।
আচমকা অতিরিক্ত রাগ, হই হট্টগোল তার আশেপাশে থাকা মানুষগুলোর জন্য ঠিক কতটা বিরক্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে, সেটিও বুঝিয়ে বলুন।
সবশেষে তাকে বুঝিয়ে বলুন, যখন সে কোনও বিষয়ে বিরক্ত হচ্ছে, রেগে যাচ্ছে, তখন কীভাবে নিজেকে অন্য কিছুতে ব্যস্ত রাখবে। সেক্ষেত্রে তাকে অন্য কোনও পছন্দসই কাজ করতে বলতে পারেন। আপনার সন্তান রং-তুলি নিয়ে সময় কাটাতে ভালোবাসলে, তা করতে বলুন। কিংবা একা কোনও একটি ঘরে চলে যেতে বলুন। তাহলে দেখবেন আচমকা অতিরিক্ত রেগে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে আপনার সন্তান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.