সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সকাল আটটায় স্কুল। হাজারও আবদার সামলে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঘুম থেকে তুলতে হয় অনেক আগে। অথচ রাতে ঘুমোতেই চায় না। যত রাত বাড়ে, ততই যেন বাড়তে থাকে তার দস্যিপনা। পাল্লা দিয়ে উদ্বেগ বাড়ে মায়ের। কারণ, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে সন্তানের বিকাশের সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসদের মতে, খুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে কমপক্ষে দিনে ৮-১০ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। আবার না ঘুমোলে পরদিন স্কুল যাওয়ার সময় মেজাজ বিগড়ে থাকবে খুদের। তার ফলে তাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার আগে হাজারও বায়না সামাল দিতে হবে। সে কারণে ঘড়ির কাঁটা রাত ৯টার গণ্ডি পেরনো মাত্র তাকে সময়মতো ঘুম পাড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন বাবা-মায়েরা। সহজ কয়েকটি কৌশলে কমতে পারে ঝক্কি। খুব তাড়াতাড়ি ঘুম নামতে পারে খুদের চোখে।
* মানুষ অভ্যাসের বশ। তাই খুদের একটি রুটিন তৈরির চেষ্টা করুন। নির্দিষ্ট সময় খাওয়ান, ঘুম পাড়ান। রোজ রাতে ঘড়ির সময় ধরে শোওয়ার ঘরে নিয়ে যান। ছুটির দিন, বেড়াতে গেলে কিংবা অনুষ্ঠান থাকলে সে নিয়ম অবশ্য ভাঙতেই পারেন।
* ঘুমোতে নিয়ে যাওয়ার কমপক্ষে ঘণ্টাখানেক আগে রাতের খাবার খাওয়ান।
* খুদেকে অবশ্যই দিনে দু’বার দাঁত মাজার অভ্যাস করান। রাতের খাবার খাওয়ার পর তার দাঁত মাজিয়ে দিন।
* দাঁত মাজানোর পর গ্রীষ্মকাল হলে স্নান কিংবা ভিজে নরম কাপড় দিয়ে গা মুছিয়ে দিতে পারেন। শীতকাল হলে অবশ্য সেসব প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র পোশাক বদল করে দিন।
* এই সময় ভুলেও খুদের হাতে মোবাইল দেবেন না। পরিবর্তে গল্পের বই দিন। সে পড়তে পারলে নিজে পড়ুক। আর না পারলে আপনি গল্প পড়ে শোনান। তাতে খুদের শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হবে।
* কোনও কোনও দিন খুদেকে গান শোনাতে পারেন। সেক্ষেত্রে ‘সফট মিউজিক’ই হবে আপনার প্রথম পছন্দ।
* মিনিট ২০ পর খুদেকে নিয়ে যান শোওয়ার ঘরে। ওই ঘরে যেন কোনও জোরাল আলো না থাকে।
* বিছানায় শুয়ে আলতো হাতে তাকে জড়িয়ে ধরুন। খুদে সারাদিন কী করল, কোন কাজটি তার করা উচিত হয়নি কিংবা কোন কাজটি সে খুব ভালোভাবে করল, তা নিয়ে আলোচনা করুন।
* গল্প করতে করতে মায়ের আলতো স্পর্শে খুদে ঘুমোতে বাধ্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.