সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে, দু’টো বাসন এক জায়গায় থাকলে ঢোকাঢুকি তো হবেই। মানুষের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নেই। এক ছাদের তলায় থাকা দু’টো মানুষের মধ্যে দাম্পত্য অশান্তি খুব স্বাভাবিক। সন্তান জন্মের পর নাকি বিবাদ বাড়ে আরও বেশি। সাম্প্রতিক ঘটনাবলি বলছে, শুধু সাময়িক মনোমালিন্য নয়। দাম্পত্য অশান্তি থেকে রেহাই পেতে মানুষটিকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু কেন হচ্ছে এসব? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
টু’ডে এবং এনবিসি নিউজ কমপক্ষে ৭ হাজার মহিলার উপর যৌথ সমীক্ষা করে। গড় হিসাব বলছে, ১০ শতাংশের মধ্যে সাড়ে ৮ শতাংশ বিবাহিত মহিলা অবসাদে ভোগেন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাবি, খুদে সন্তান যতই ভুলভ্রান্তি করুক না কেন স্বামীর আচরণে তিতিবিরক্ত তাঁরা। যাঁর হাত ধরে সংসার শুরু, সেই মানুষটির প্রতি কেন আকর্ষণ হারাচ্ছেন বেশিরভাগ মহিলা? বিশেষজ্ঞদের মতে, এর নেপথ্যে অবশ্য একাধিক কারণ রয়েছে।
* বর্তমানে বেশিরভাগ মহিলা কর্মরত। তা সত্ত্বেও অফিস, সংসার এবং সন্তানের গুরুদায়িত্ব তাঁদের কাঁধে। অথচ পরিবারের পুরুষ সদস্যকে সে দায়িত্ব বইতে হয় না। কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ পরিবারের ছবি এটি। দিনরাত কাজের ফলে তুলনামূলক বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়েন মহিলারা। ফলে মানসিক অবসাদ গ্রাস করে তাঁদের। আর সে কারণে ক্রমশ বাড়ছে অশান্তি।
* অনেক মহিলাই স্বামীকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। স্বামীকে মতামত প্রকাশ করতে দেন না। তার ফলে সংঘাত তৈরি হয়। আবার অনেক পুরুষও তাঁর স্ত্রীকে দমিয়ে রাখার চেষ্টাও করেন।
* দাম্পত্যের শুরুর দিকে স্ত্রীর প্রতি সারাক্ষণ খেয়াল রাখতেন স্বামী। সন্তান জন্মের পর স্বামী আর সময় দেন না। বহু মহিলার গলায় এমন অভিযোগের সুর শোনা যায়। তার ফলে মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়। ফলে অশান্তি বাড়ে।
* বহু পরিবারও আবার দাম্পত্য অশান্তির মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই দাম্পত্য অশান্তি হলে নিজেরা মেটান। তৃতীয় ব্যক্তিকে দু’জনের মধ্যে মতামত প্রকাশের সুযোগ দেবেন না। তাতে সমস্যা বাড়বে।
সম্পর্কে সমস্যা দেখা দেবেই। সমাধানের চেষ্টা না করে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকবেন না। পরিবর্তে মনের মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। মনে রাখবেন, খোলামেলা আলোচনাই কিন্তু সুস্থ সম্পর্কের চাবিকাঠি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.