Advertisement
Advertisement

Breaking News

হেরিটেজ আর্ট গ্যালারি হবে ডুরান্ড হল, পর্যটন কেন্দ্রের ভাবনা রেলের

ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা।

Railway renovates iconic Durand Institute in Asansol
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 7, 2018 11:34 am
  • Updated:September 7, 2018 11:34 am

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: পর্যটক টানতে এবার হেরিটেজ গ্যালারি রূপে সেজে উঠবে ডুরান্ড ইনস্টিটিউট। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আসানসোল রেল ডিভিশন। জানা গিয়েছে, বিল্ডিংটির সংস্কারের কাজ চলছিল। সেই সময় ব্রিটিশ আমলের বহু মূল্যবান জিনিসপত্র উদ্ধার হয়। সেই সামগ্রী ব্যবহার করে পর্যটনক্ষেত্র হিসাবে গড়ে তোলা হবে ডুরান্ডকে। গোটা বিল্ডিংটি সাজানো হবে ইউরোপিয়ান আলো দিয়ে। এবিষয়ে ডিআরএম প্রশান্ত কুমার মিশ্র জানান, রেলের হেরিটেজ কমিটির প্রস্তাবের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আসানসোল রেল ডিভিশন।

[দাউদ-সইদের খোঁজে ভারতকে সাহায্য, ঘোষণা ট্রাম্প প্রশাসনের]

Advertisement

পূর্ব রেলের ডিভিশনাল রেলওয়ে আসানসোলে স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে স্টেশন রোড ধরলেই ডান পাশে চোখে পড়বে মনোরম প্রাচীন স্থাপত্য। পাঁচিল ঘেরা অনেকখানি খোলা জায়গার মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে ব্রিটিশ শাসনের অন্যতম পরিচায়ক ডুরান্ড। যার বর্তমান নাম ‘বিবেকানন্দ ইনস্টিউট’। ১৮৬৩ সালে তৈরি হয় আসানসোল স্টেশন। রেলকে কেন্দ্র করেই বিকশিত হতে থাকে আসানসোলের শিল্প তারপরেই শিল্পকলা বা বিনোদন। রেলের ইউরোপীয় ও অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান উচ্চপদস্থ কর্মীদের বিনোদনমূলক ক্লাব ‘ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউট’ তৈরি হয় ১৮৭৮ সালে। ১৯২৫ সালে এর নাম হয় ‘ডুরান্ড ইনস্টিটিউট’।

Advertisement

জানা গিয়েছে, ডুরান্ড বিল্ডিংটি সংস্কারের সময় ১৫টি রূপোর প্লেট, ব্রিটিশ আমলের পুরাতন ভিডিও প্রোজেক্টর পাওয়া গিয়েছে। হলটি জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে ব্রিটিশ আমলের নানান নিদর্শন। বিশাল লাউঞ্জহল, ক্লোকরুম, লাইব্রেরি, পুরাতন বিলিয়ার্ড বোর্ড, টেবিল-চেয়ার। পুরানো গরিমা ধরে রাখতে নাচের জন্য সেগুন কাঠের তৈরি বিরাট ডান্স-হলটিকে অক্ষত রাখা হয়েছে।

সম্প্রতি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্ট হেরিটেজ কালচার রেল বোর্ডের সদস্য কমল বন্দ্যোপাধ্যায় ও সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় ডুরান্ড হল পরিদর্শন করেন। ডুরান্ডের যে প্রেক্ষাগৃহে অতীতে সিনেমা দেখানো হত সেখানেই ডিজিটাল হেরিটেজ আর্ট গ্যালারির ওপর তাঁরা জোর দেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা প্রস্তাব দেন, রেলের ঐতিহাসিক নিদর্শনের ওপর ফটো ও ভিডিও তৈরি করে ওই প্রেক্ষাগৃহে পর্যটকদের জন্য দেখানো যেতে পারে। তাঁদের পরামর্শেই ডিআরএম ১৫ সদস্যের এক কমিটি গঠন করেন। ডিআরএম জানান, শুধু ভিতরেই নয়, ডুরান্ডের বাইরে বিশাল জায়গা জুড়ে ফুডস্টল, কেয়ারি করা গার্ডেন ও ছোট ছোট পার্টি আয়োজনের জন্য রেস্টুরেন্টের মত সবরকমের ব্যবস্থা থাকবে। ইকোনমি জোন করে দেওয়ায় আগামিদিনে ডুরান্ডের রক্ষণাবেক্ষণের ফান্ড উঠে আসবে সেখান থেকে।

[২০২৫-এর মধ্যে পাকিস্তানের ভাণ্ডারে ২৫০টি পারমাণবিক বোমা!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ