সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের মোট ৪২টি জায়গাকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। তার মধ্যে একাধিক জায়গা বহুলচর্চিত। প্রায় সারাবছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে। অথচ ৮টি জায়গা একেবারেই প্রচারের আড়ালে। ওই জায়গাগুলির কথা পর্যটকরা জানেন না বললেই চলে। ফলে ভিড়ও জমান না কেউ। আর পর্যটন ব্যবসাও সেভাবে ফেঁপেফুলে উঠতে পারে না সেখানে। তবে ভিড় তেমন পছন্দ না করলে, আপনার গন্তব্যও হতে পারে সেই ৮ জায়গা।
চম্পানের-পাভাগড় আর্কিওলজিকাল পার্ক:
গুজরাটের চম্পানের এবং পাভাগড় পাহাড়ের উপর অবস্থিত এই আর্কিওলজিকাল পার্ক। অষ্টম থেকে পঞ্চদশ শতাব্দীর বিভিন্ন স্থাপত্য দেখা যায় এখানে। হিন্দু, জৈন, ইসলামিক সংস্কৃতির সংমিশ্রণে জায়গাটি যেন অন্য চেহারা পেয়েছে। এখানে গেলে মন্দির, মসজিদ, দুর্গ, প্রাসাদ, সমাধি দেখতে পাবেন সব। উপরি পাওনা পাভাগড় পাহাড়ের সৌন্দর্য। ২০২৪ সালে ইউনেস্কো এই জায়গাটিতে হেরিটেজ তকমা দেয়। প্রত্নতত্ব এবং নানা সংস্কৃতির স্বাদ পেতে চাইলে এই জায়গাটি হতে পারে গন্তব্য।
তামিলনাড়ুর চোল মন্দির:
একাদশ থেকে দ্বাদশ শতকে চোল রাজাদের তৈরি এই মন্দিরে আনাচে কানাচে ইতিহাসের হাতছানি। মন্দিরের গায়ে থাকা ব্রোঞ্জের কাজ সকলের নজর কাড়ে। ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পাওয়া গ্রেট লিভিং চোল টেম্পলে ঘুরে আসতেই পারেন।
কাকাটিয়া রুদ্রেশ্বর মন্দির (রামাপ্পা)
তেলেঙ্গানার রামাপ্পা মন্দির বহু প্রাচীন। শোনা যায়, প্রায় ৪০ বছর ধরে নাকি এই মন্দির নির্মাণকাজ হয়েছিল। হালকা ইটের (ফ্লোটিং ব্রিকস) তৈরি মন্দিরে স্থাপত্য নজরকাড়া। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও চোখধাঁধানো। তাই হাতে খানিকটা সময় থাকলে এই মন্দির হতে পারে আপনার গন্তব্য।
রানি কি ভাও
গুজরাটের স্টেপওয়েল স্থাপত্য রানি কি ভাও ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পেয়েছে আগেই। একাদশ শতাব্দীতে তৈরি এই স্থাপত্য প্রায় ৩০ মিটার গভীর। ইতিহাস আপনাকে আকর্ষণ করলে বাক্সপ্যাঁটরা গুছিয়ে পাড়ি জমাতে পারেন।
ভীমবেটকা রক শেল্টার্স
প্রস্তর যুগের গুহাচিত্র চাক্ষুস করতে চান? তবে আপনার গন্তব্য হতে পারে মধ্যপ্রদেশের ভীমবেটকা রক শেল্টার্স। শুধু ইতিহাসের ফিসফিসানি নয়, স্থানীয় সংস্কৃতির স্বাদ পেতে পারেন এখানে। গত ২০০৩ সালে ইউনেস্কো হেরিটেজ তকমা দেয়। তা সত্ত্বেও এই জায়গাটি নিয়ে তেমন আলোচনা হয় না।
চার্চ অ্যান্ড কনভেন্ট
গোয়ায় প্রতি বছর বহু পর্যটক ভিড় জমান। বিশেষত সেখানকার আমোদ প্রমোদে ভরা জীবন সকলকে টানে। তবে ইউনেস্কোর তকমা পাওয়ার পরেও প্রচারের আড়ালে রয়ে গিয়েছে চার্চ এবং কনভেন্ট। পতুর্গিজদের সম্পর্কে বিশদে জানতে চাইলে ওই জায়গাগুলিতে একবার আপনাকে ঘুরে আসতেই হবে।
বিহারের মহাবোধি টেম্পল কমপ্লেক্স
বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে নানা তথ্য সংগ্রহের ইচ্ছা থাকলে, আপনি পাড়ি জমাতে পারেন বিহারে। ভিড় এড়িয়ে ইতিহাসকে জানতে সেখানকার মহাবোধি টেম্পল কমপ্লেক্সে ঘুরে আসতে পারেন।
ভিক্টোরিয়ান গথিক অ্যান্ড আর্ট ডেকো এনসেম্বলস
২০১৮ সালে ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পায় ভিক্টোরিয়ান গথিক অ্যান্ড আর্ট ডেকো এনসেম্বলস। এই জায়গাটিও একবার ঘুরে দেখতে পারেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.