Advertisement
Advertisement
Bhopal

সবজি পাড়তে লাগবে মই! ১৮ ফুটের ঢ্যাঁড়স গাছে বিশ্বজয়ের পথে ভারতীয় বিজ্ঞানী

'এক পায়ে দাঁড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে...'।

Bhopal man grows longest Bhindi tree

আশ্চর্য ঢ্যাঁড়স গাছের সঙ্গে বিজ্ঞানী ডা. সন্দীপ সিঙ্ঘাই।

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:November 3, 2024 5:48 pm
  • Updated:November 3, 2024 5:48 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘এক পায়ে দাঁড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে’। যদিও এ তাল গাছ নয়, ঢ্যাঁড়স। তাতে কী? কোমর-মাথা পেরিয়ে একেবারে তাল গাছের সঙ্গে টক্কর দিচ্ছে এই ‘অসামান্য’ ঢ্যাঁড়স গাছ! এখানে ঢ্যাঁড়স তুলতে, থুড়ি পাড়তে লাগবে আস্ত মই। ১৮ ফুট লম্বা এমনই ঢ্যাঁড়স গাছের দৌলতে বিশ্বজয়ের পথে ভারতীয় বিজ্ঞানী। এই কীর্তির জন্য ‘গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে’ আবেদন করতে চলেছেন তিনি।

মধ্যপ্রদেশের ভোপালের CSIR- AMPRI এর অধ্যাপক তথা বিজ্ঞানী ডা. সন্দীপ সিঙ্ঘাই। যিনি নিজের বাড়ির বাগানে বেশ কিছু ঢ্যাঁড়স গাছ রোপন করেন। যার মধ্যে একটি গাছ দৈর্ঘ্যে ১৮ ফুট বেড়ে ওঠে। বাকি আরও ২টি গাছ ১০ ফুট করে লম্বা হয়। তাতে ঢ্যাঁড়সও হয় প্রচুর পরিমাণে। বিজ্ঞানীর দাবি, গাছ রোপণের সময় তাঁর কোনও ধারণাই ছিল না ঢ্যাঁড়স গাছ এতখানি লম্বা হতে পারে। বেনজির এই ঘটনার জেরে ডা. সন্দীপ ‘গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে’ নিজের নাম নথিভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। কারণ এখনও পর্যন্ত বিশ্ব রেকর্ড গড়া ঢ্যাঁড়স গাছের উচ্চতা ১৬ ফুট ৪ ইঞ্চি।

Advertisement

সাধারণত ঢ্যাঁড়স গাছের উচ্চতা হয় ৩ ফুট। কখনও এর উচ্চতা ৫ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। তবে একটি ঢ্যাঁড়স গাছের দৈর্ঘ্য ১৮ ফুট পর্যন্ত হওয়াটা নিঃসন্দেহে আশ্চর্যজনক তা মেনে নিচ্ছেন কৃষিবিদরা। বিজ্ঞানী সন্দীপ বলেন, পৃথিবীর সর্বোচ্চ এই ঢ্যাঁড়স গাছে ফলও বেশ ভালোই হয়। তবে সমস্যা হল গাছ থেকে ফল পাড়তে রীতিমতো বেগ পেতে হয় সন্দীপ ও তাঁর স্ত্রী শিল্পাকে। ঢ্যাঁড়স পাড়তে মই ব্যবহার করেন তাঁরা। সন্দীপের স্ত্রী বলেন, সাধারণ ঢ্যাঁড়স গাছ ভেবেই বাগানে এটি রোপণ করেছিলেন তাঁরা। তবে এ যে এভাবে বিশ্বসেরা হয়ে উঠতে পারে এ আমাদের স্বপ্নেরও অতীত ছিল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement