সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়টা ছিল ১৯৯৫। দিল্লির এক অভিজাত হোটেলে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ পেয়েছিলেন। সারাদিন বাইরে দাঁড়িয়ে অতিথিদের স্বাগত জানাতেন। হোটেলের ভিতরের সাজসজ্জা দেখার সাধ যে কোনও দিন হয়নি তা নয়। কিন্তু সাধ্য বা অনুমতি কোনওটাই ছিল না। দোরে পাহারা দিয়ে পাহারা দিতে দিতে শুধুই অভিজাতদের আনাগোনা দেখা গিয়েছেন। ২০০০ সাল পর্যন্ত এখানেই কাজ করেছেন তিনি। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সংসার চালিয়েছেন। ছেলেকে বড় করেছেন। সেই ছেলেই বদলে দিয়েছেন বাবার ভাগ্য। ২৫ বছর ওই হোটেলেই অতিথি হয়ে খেতে গেলেন প্রৌঢ়। কষ্টের দাম দিয়ে বাবার মুখে হাসি ফুটিয়েছেন ছেলে। তাঁদের এই মিষ্টি মুহূর্ত মন ছুঁয়েছে নেটিজেনদের।
জানা গিয়েছে, দিল্লির ওই যুবকের নাম আরিয়ান মিশ্র। এক সময় তাঁর বাবা বিলাসবহুল হোটেলে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। বাবার কঠোর পরিশ্রম দেখেই বড় হয়েছেন আরিয়ান। পড়াশোনা শিখে আজ তিনি ভালো রোজগার করছেন। তাঁর হাত ধরেই বাবা-মায়ের কষ্টের অবসান ঘটেছে। উপহার হিসাবে আরিয়ান বাবা-মাকে নিয়ে গিয়েছিলেন বড় হোটেলে খাওয়াতে। আর সেখানেই তিনি চমকে দিয়েছেন সকলকে। গতকাল আরিয়ান এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, ‘এই হোটেলেই আমার বাবা ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেছেন। আজ আমি সুযোগ পেয়েছি তাঁকে সেই একই জায়গায় নিয়ে এসে খাবার খাওয়ানোর। বাবা-মা দুজনেই খুশি।’
My father was a watchman at ITC in New Delhi from 1995-2000; today I had the opportunity to take him to the same place for dinner 🙂 pic.twitter.com/nsTYzdfLBr
— Aryan Mishra | आर्यन मिश्रा (@desiastronomer) January 23, 2025
এই লেখার সঙ্গেই আরিয়ান নিজের সঙ্গে বাবা-মায়ের ছবিও পোস্ট করেছেন। তাঁর এই উদ্যোগের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। একজন যেমন লিখেছেন, ‘আমি জানি না আপনি কে। কিন্তু এই গল্প আমার হৃদয় স্পর্শ করেছে।’ তেমনই অন্য আর একজন বলেছেন, ‘আনন্দ উদযাপন করার এটা সেরা পথ। আপনার মঙ্গল হোক। বাবা-মায়ের খেয়াল রাখুন।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.