১৮৩০ সালের সেই ঐতিহাসিক কন্ডোম।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যৌনতা শুধু সন্তান জন্ম নয়, নিখাদ আনন্দ উপভোগের মাধ্যম। গর্ভধারণ এড়িয়ে ভরপুর যৌনতার স্বাদ নিতে আজ থেকে ২০০ বছর আগেও প্রচলন ছিল নিরোধ বা কন্ডোমের। যদিও তার ব্যবহার সীমাবদ্ধ ছিল বৃত্তশালীদের মধ্যে। সম্প্রতি আমস্টারডামের রিজকস মিউজিয়ামে প্রদর্শিত হল ১৮৩০ সালে তৈরি যৌনউদ্দীপক ছবি আঁকা তেমনই এক ঐতিহাসি কন্ডোম। যা দেখতে রীতিমতো ভিড় জমল নেদারল্যান্ডের এই মিউজিয়ামে।
মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষের দাবি, সেকালে ফ্রান্সে যে সব পতিতালয়ে বিত্তশালীদের আনাগোনা লেগে থাকত সেখানে কন্ডোমের প্রচলন ছিল। তেমনই বিলাসবহুস পতিতালয় থেকে উদ্ধার হয় কন্ডোমটি। ভেড়ার অন্ত্র দিয়ে তৈরি এই জিনিস এত বছরেও নষ্ট বা কোনওরকম ক্ষতি হয়নি। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত বছর নেদারল্যান্ডের হারলেম শহরে এক নিলামে ১০০ ইউরো (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯০ হাজার টাকা) দাম ওঠে কন্ডোমটির। এর পর ১৯ শতকের পতিতাবৃত্তি ও যৌনতাকে তুলে ধরার জন্য আয়োজিত প্রদর্শনীতে এটি দেখানো হয়। সেই সূত্রেই এবার কন্ডোমটির ঠাঁই হল মিউজিয়ামে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, অবাঞ্ছিত গর্ভধারন এড়িয়ে ও যৌন আনন্দ উপভোগ করতে বিলাসবহুল পতিতালয়ে ব্যবহৃত হত ভেড়ার অন্ত্রে তৈরি এইসব কন্ডোম।
ঐতিহাসিকদের মতে, ফ্রান্সের প্যারিস শহর পতিতালয়ের জন্য সেকালে বেশ জনপ্রিয় ছিল। সেখানেই ধনী গ্রাহকদের জন্য রাখা হত কন্ডোম। যদিও মিউজিয়ামে প্রদর্শিত এই কন্ডোম কখনও ব্যবহার করা হয়নি বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এছাড়াও এই কন্ডোমের আর একটি বিশেষ দিক রয়েছে। তা হল, এতে আঁকা রয়েছে যৌন উদ্দীপক ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একজন অর্ধনগ্ন সন্ন্যাসিনী তিনজন পুরোহিতের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। ছবির নিচে লেখা, ‘ভয়েলা মন চোইস’ অর্থাৎ ‘আমার পছন্দ’। ঐতিহাসিক এই কন্ডোমটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ সেন্টিমিটার।
উল্লেখ্য, কন্ডোমের ইতিহাস নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে নানা মতবিরোধ রয়েছে। যদিও মনে করা হয়, প্রাচীনকালে মিশরীয় সভ্যতায় কন্ডোমের ব্যবহার ছিল। ১৮৩৯ সালে ভালকানাইজড রাবার আবিষ্কারের আগে এইসব কন্ডোম ব্যবহৃত হত পশুর অন্ত্র দ্বারা। রিজকসমিউজিয়ামের কিউরেটর জয়েস জেলেন বলেন, ১৮৩০ সালে অর্থাৎ আজ থেকে ২০০ বছর আগে এইসব কন্ডোমের অস্তিত্ব থাকলেও, যৌন সম্পর্কে এর ব্যবহার ছিল নিষিদ্ধ। এগুলিকে পাপ হিসেবে গণ্য করত চার্চগুলি। তবে পতিতালগুলিতে কন্ডোমের চল থাকলেও গোপনে ব্যবহৃত হত এই জিনিস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.