সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়ি থেকে পালিয়ে ফুটপাথে দিনযাপন। আর সেখান থেকেই ফোর্বস এশিয়ার ‘সেরা ৩০’-এ স্থান। একটা ক্যামেরার সাহায্যে এমনই উত্তরণ ঘটেছে ছোটবেলায় বাবা-মা পরিত্যক্ত যুবক ভিকি রায়ের। তাঁর ক্যামেরাবন্দি ছবির জনপ্রিয়তা দেখে ফোর্বস এশিয়া তাঁকে ৩০ বছরের কম বয়সি প্রভাবশালী ভারতীয়দের সেরা ৩০ জনের তালিকায় স্থান দিচ্ছে।
[ আরও পড়ুন: রাখির বাজারে জোর লড়াই, প্রধানমন্ত্রীকে টেক্কা দিচ্ছেন অভিনন্দন বর্তমান]
জানান গিয়েছে, ফুটপাথবাসীদের নিয়ে নানা মননশীল ছবি ধরা পড়েছে ভিকির লেন্সে। আর তাঁর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর ‘লাইক’ও পায়। তরুণ প্রজন্মের কাছে তাঁর কাজের প্রভাব দেখেই ফোর্বস এই সম্মান দিচ্ছে ভিকিকে। ইতিমধ্যেই ছবি তোলা ও প্রদর্শনীর সৌজন্যে সারা বিশ্ব ঘুরে ফেলেছেন এই যুবক। সম্প্রতি ‘হিউম্যানস অফ বম্বে’ নামে একটি সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে ফুটপাথ থেকে কীভাবে তাঁর উত্তরণ হল, সেই কাহিনি শুনিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, তাঁর জন্মের পরই বাবা-মা তাঁকে দাদুর কাছে রেখে চলে যায়। দাদুর মারধরে তিতিবিরক্ত হয়ে ১১ বছর বয়সে টাকা চুরি করে গ্রাম থেকে দিল্লি পালিয়ে এসেছিলেন ভিকি।
[ আরও পড়ুন: গলের গায়ে লেখা ‘আল্লা’র নাম! ইদের দিন বিক্রি হল ৮ লাখ টাকায় ]
তাঁর কথায়, “রাস্তার নোংরা পরিষ্কার করে, ধাবার বাসন মেজে, লোকের এঁটো খেয়ে ফুটপাতে থাকতাম। একদিন এক ডাক্তারের সঙ্গে পরিচয় হয়। তিনি সালাম বালক নামে একটি অনাথ আশ্রমে আমাকে পাঠিয়ে দেন। সেখানে জীবনটা বদলে গেল।” মাথার উপর ছাদ জুটল, তিন বেলা খাবার মিলত, স্কুলে পড়াশোনার সুযোগ হল। এরপর ওই আশ্রমেই এক ব্রিটিশ ফটোগ্রাফার আসেন। তাঁর কাছেই ছবি তোলায় হাতেখড়ি হয় বালক ভিকির। সাবালক হতেই এনজিও’র তরফে ৪৯৯ টাকার একটি ক্যামেরা দেওয়া হয়। ব্রিটিশ ফটোগ্রাফারের সহকারী হিসাবে কাজ শুরু করেন তিনি। ফুটপাতবাসী থেকে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের নানা মুহূর্ত ধরা পড়ে ভিকির ক্যামেরায়। তাঁর প্রথম প্রদর্শনী ‘স্ট্রিট ড্রিমস’-এ প্রচুর লোক ছবি কেনে। নিউ ইয়র্ক, লন্ডন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নানা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ডাক আসে। ভিকির কথায়, “ভাগ্য যে এভাবে বদলাবে জীবনে ভাবিনি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.