Advertisement
Advertisement

Breaking News

বাঁদর বাবা

মগডালেই খাওয়া-ঘুম-ধ্যান! ‘বাঁদর বাবা’ই এখন হিরো উত্তরপ্রদেশে

মাস চারেক আগে বাহারাইচে পৌঁছান তিনি।

Utter Pradesh throng to see ‘Bandariya Baba’ living on trees
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:August 15, 2019 2:02 pm
  • Updated:May 19, 2020 10:55 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাছের মগডালে তাকালেই নজরে  পড়ছেন এক ব্যক্তি। লাল শালুর উপর গাছের মাথায় বসে কখনও মোবাইলে কথা বলছেন, কখনও আবার ক্লান্ত হয়ে হাত-পা ছড়িয়ে গাছের মগডালেই শুয়ে পড়ছেন তিনি। এমনকী খাওয়াদাওয়া থেকে জামাকাপড় শুকোতে দেওয়া – সবই চলছে সেখানে। আর অদ্ভুত এই কাণ্ডের সাক্ষী উত্তরপ্রদেশের বাহারাইচের সুজোলির বাসিন্দারা। আর মগডালে এত কাণ্ড ঘটাচ্ছেন যিনি, স্থানীয়রা তাঁর নাম দিয়েছেন বান্দারিয়া বাবা বা বাঁদর বাবা।

[আরও পড়ুন: রাখির বাজারে জোর লড়াই, প্রধানমন্ত্রীকে টেক্কা দিচ্ছেন অভিনন্দন বর্তমান]

উত্তরপ্রদেশের বাহারাইচের সুজোলিতে আচমকাই ওই ব্যক্তির দেখা মেলে। প্রথম দিন থেকেই পরণে সাধুর বেশ বছর ষাটেকের এই ব্যক্তির। গলায় একাধিক মালা। জানা গিয়েছে,  মাস চারেক আগে বাহারাইচে যান তিনি। কিন্তু প্রথমে তাঁকে পুলিশ সেখানে ঘাঁটি গাড়তে বাধা দেন। বাধ্য হয় বাহারাইচ ছেড়ে চলেও যান বাঁদর-বাবা। কিছুদিন পর আবার ফিরে গিয়ে তিনি আশ্রয় নেন একটি গাছের ডালে।

Advertisement

বাঁদর বাবার দাবি, ”হনুমানজির কৃপা রয়েছে আমার উপর। আমি গাছেই থাকি। এখানেই খাই, ঘুমোই। আবার গাছের ডালে বসেই ধ্যান ও হোম-যজ্ঞ করি। কোনও অসুবিধা হয়নি৷” স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি পিলভিট জেলার বাসিন্দা। বেশ কয়েক বছর হরিদ্বারে ছিলেন তিনি। কিন্তু কী তাঁর আসল নাম, তা বলতে পারছেন না কেউ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ছাগলের গায়ে লেখা ‘আল্লা’র নাম! ইদের দিন বিক্রি হল ৮ লাখ টাকায়]

বর্তমানে এই বাঁদর বাবার কাণ্ড কারও অজানা নয়। রোজ হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন এই বাঁদর-বাবাকে দেখতে। কিন্তু বাঁদর বাবার এই জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে সমস্যায় পড়ছেন স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন। পুলিশের তরফে বারবার চেষ্টা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তিকে গাছ থেকে নামিয়ে আনার। কিন্তু সাফল্য আসছে না কিছুতেই। প্রতিবারই গাছ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ভয় দেখিয়ে পুলিশকর্মীদের পিছু হটতে বাধ্য করছেন ওই ব্যক্তি। তবে হাল ছাড়েনি পুলিশ। আর পুলিশের মাথাব্যথা যতই থাক, বাঁদর বাবার গাছজীবনের কীর্তি কিন্তু বেশ চুটিয়ে উপভোগ করছেন স্থানীয়রা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ