Advertisement
Advertisement
পাঞ্জাব

পাঞ্জাবের এই গ্রামে রাস্তা ও নেমপ্লেটে থাকে শুধুমাত্র মহিলাদের নাম

২০১৫ সালে প্রথম এটি চালু করেছিলেন হরিয়ানার বিবিপুর গ্রামের বাসিন্দারা।

Village In Punjab to Displays Women’s Name on Their Nameplates
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:May 18, 2019 9:16 pm
  • Updated:May 18, 2019 9:16 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হরিয়ানার বিবিপুরের মতো এবার পাঞ্জাবের হিম্মতপুরা গ্রামেও মেয়েদের নামে লেখা হচ্ছে বাড়ির নেমপ্লেট। এমনকী রাস্তার নামকরণও হচ্ছে এলাকার বিশিষ্ট মহিলাদের নামে। নারীশক্তির প্রতি সম্মান জানাতেই পাঞ্জাবের ভাতিন্ডা জেলার হিম্মতপুরা গ্রামে। গোটা রাজ্যে বাড়ির নেমপ্লেটে পুরুষদের নাম যখন এখনও লেখা হচ্ছে তখন এই গ্রামের ৩৫০টি পরিবার বদলে দিয়েছে সেই নিয়ম। তারা বাড়ির নেমপ্লেটে মহিলা সদস্যদের নাম রাখার পাশাপাশি তাদের ফোন নম্বর এবং একটি স্লোগানও লিখে রাখছে। যা অনুপ্রাণিত করছে তাদের প্রতিবেশীদেরও।

[আরও পড়ুন- ‘কংগ্রেসের নিয়ম মানছেন না শত্রুঘ্ন’, দলেরই প্রার্থী তোপ দাগলেন ‘বিহারী বাবু’কে]

২০১৫ সালের জুলাই মাসে দেশের মধ্যে প্রথম এই কাজটি করেছিলেন পার্শ্ববর্তী রাজ্য হরিয়ানার বিবিপুর গ্রামে বাসিন্দারা। যা দেখে পাঞ্জাবে প্রথম এই নিয়ম চালু করেন হিম্মতপুরার বাসিন্দারা। ২০১৬-১৭ আর্থিক বর্ষে পাঞ্জাবের স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছিল যে এই গ্রামে মহিলাদের জন্মের হার বেশি। প্রায় ৫৫ শতাংশ। বাসিন্দারা বেশিরভাগই চাষাবাদের কাজে যুক্ত। ৬ সদস্যের পঞ্চায়েতে মহিলা প্রধান ছাড়াও রয়েছেন আর দু’জন মহিলা সদস্য।

Advertisement

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত মহিলাদের সাহায্য করার জন্যই গ্রামের রাস্তা ও বাড়ির নেমপ্লেটে তাদের নাম লেখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এর জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্য রূপ সিং গ্রামবাসীদের ১০ হাজার টাকা অনুদানও দেন। পাশাপাশি গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে একটি ফান্ডও তৈরি করা হয়। যা থেকে প্রতিটি মেয়ের বিয়ের সময় ৫,১০০ টাকা ও জন্মের সময় ১,১০০ টাকা উপহার দেওয়ার প্রক্রিয়াও চালু হয়েছে। সেই সঙ্গে যদি গ্রামের কোনও মেয়ে পড়াশোনা ও খেলাধুলোয় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে তাকে পুরস্কৃতও করা হয়।

[আরও পড়ুন-‘ইন্দিরা গান্ধীর মতো আমিও খুন হতে পারি’, বিস্ফোরক অভিযোগ কেজরিওয়ালের]

এপ্রসঙ্গে গ্রামের সরপঞ্চ মালকিত কাউর বলেন, “বাড়ির গেটে থাকা নেমপ্লেটে নাম লেখা চালু হওয়ার পর থেকেই গ্রামের মহিলাদের আত্মবিশ্বাস বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পাশাপাশি গ্রামের নাবালিকা মেয়েদের বিয়ে রুখতে তাদের পড়াশোনা ও খেলাধুলোর জন্য অনুপ্রেরণা দেওয়া হয়। আসলে আমাদের মূল লক্ষ্য হল, যেভাবেই হোক বাড়ির মেয়েদের সাবলম্বী করে তোলা।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ