প্রতীকী ছবি
মিরে অ্যাসেট নিফটি ফিফটি ইকুয়াল ওয়েট ইটিএফ নিয়ে শীঘ্রই বাজারে চলে আসতে পারে। ইনডেক্স এবং এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড–এই শ্রেণির প্রকল্পের জন্য নির্দিষ্টভাবে সূচকটি সম্পর্কে জানা দরকার। তাই সেই নিয়েই তথ্য দিল টিম সঞ্চয়
এবারে সেবির সূত্র ধরে সম্প্রতি প্রস্তাবিত ফান্ডের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হল Mirae Asset Nifty 50 Equal Weight ETF. ড্রাফট অফার ডকুমেন্টের ভিত্তিতে এই এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডটি নিফটি ৫০ ইকুয়াল ওয়েট টোটাল রিটার্ন ইনডেক্সকে অনুসরণ করবে, আর সূচকের অ্যালোকেশন অনুযায়ীই লগ্নি করবে বিভিন্ন স্টকে। যখন এনএফও হিসাবে খুলবে, তখন এককালীন লগ্নির পরিমাণ হবে ৫,০০০ টাকা। তারপর “কনটিনিউয়াস বেসিস” হিসাবে মার্কেটে লেনদেন হতে পারে।
ইনডেক্স এবং এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড – এই শ্রেণির প্রকল্পের জন্য নির্দিষ্ট ভাবে সূচকটি সম্বন্ধে জানা দরকার। নিয়ম অনুযায়ী প্রায় পুরো অ্যাসেটই সংশ্লিষ্ট ইনডেক্সের স্টকে বিনিয়োগ করা হবে, কেবল সামান্যই (সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ) রাখা হবে মানি মার্কেট ইনস্ট্রুমেন্টে বা লিকুইড ফান্ডে। প্রস্তাবিত ফান্ডটি আদতে প্যাসিভ, তার মানে এখানে বিশেষ সূচকটিকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হবে না ফান্ড ম্যানেজারের তরফে। তবে ট্র্যাকিং এরর নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার, এমন জানাচ্ছেন বাজারের বিভিন্ন মহল। এই বিষয়টি নিয়ে ইদানিং ইনভেস্টররা সরব হয়েছেন। নানা ধরনের ইনডেক্স ফান্ডের জনপ্রিয়তা বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রসঙ্গটি দেখা প্রয়োজন বলে মনে করেন তাঁরা। উল্লেখ্য, মিরে অ্যাসেট ইতিমধ্যে একগুচ্ছ ইটিএফ পরিচালনা করছেন – এগুলির মধ্যে একাধিক সেক্টোরাল তথা থিম্যাটিক সূচক-ভিত্তিক প্রকল্পও আছে।
লগ্নিকারীরা জানেন যে ইটিএফ সাধারণ ফান্ড থেকে বেশ আলাদা, কারণ তা এক্সচেঞ্জ বেচাকেনা করা যায় (লিস্টেড স্টকের মতোই)।
ইটিএফ-এর সুবিধা
ক। সহজেই ব্রোকারের মাধ্যমে কিনতে/বেচতে পারবেন মার্কেট চলাকালীন, “রিয়াল টাইম প্রাইস” এখানে উল্লেখ্য।
খ। ইনভেস্টর নিজের প্রয়োজন বুঝে “লিমিট অর্ডার” দিতে পারবেন। নূ্যনতম লগ্নি : একটি ইউনিট।
গ। সহজেই লগ্নি/বিলগ্নি করা সম্ভব। চটজলদি পুরো ইনডেক্সে কেউ যদি “এক্সপোজার” চান, তিনি সংশ্লিষ্ট ইটিএফ বেছে নিতে পারেন।
ঘ। দীর্ঘ এবং মধ্যমেয়াদী বিনিয়োগের পক্ষে সুবিধাজনক – ডাইভারসিফিকেশনও তাৎক্ষণিক হতে পারে। এবং তা স্বল্প খরচেই (অ্যাক্টিভ ফান্ডের তুলনায়) করা যাবে। তাই ইটিএফ একটি ‘লো কস্ট’ প্রস্তাব।
ঙ। রিস্ক আছে ইটিএফ-এর ক্ষেত্রে। সংশ্লিষ্ট ইনডেক্স যদি পড়ে, আপনার ভ্যালুয়েশনও কমবে। সঙ্গের চার্টে কয়েকটি তুলনামূলক পয়েন্ট।
এই চার্টে নজর দিলে বোঝা যাবে কতগুলি ইনডেক্স এবং ইটিএফ সংক্রান্ত প্রস্তাব এসেছে সেবির অনুমোদনের জন্য। সবই এপ্রিল মাসের গোড়া থেকে ধরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.