প্রতীকী ছবি
হালে দেখা যাচ্ছে, অনেকেই আয়করের দিকে নজর দিতে শুরু করেন অর্থবর্ষের শেষ পর্যায়ে এসে। এখন প্রান্তিক ত্রৈমাসিকে এসে পড়েছি আমরা, আর ট্যাক্স বাঁচানোর ব্যাপারে সক্রিয়তাও বাড়ছে। তাই সাধারণ লগ্নিকারীর কথা ভেবে টিম সঞ্চয় এই “লাস্ট মিনিট সাজেশন” তৈরি করেছে। আর তার মূলে আছে ট্যাক্স সেভিং ফান্ড।
প্রথমেই নজর রাখুন মূল পয়েন্টগুলোতে:
ক। যে কোনও সাধারণ ডাইভারসিফায়েড ইক্যুইটি ফান্ডের মতোই এই ট্যাক্স সেভিং বিকল্পগুলো।
খ। তিন বছরের লক-ইন থাকে। তার মানে ৩৬ মাসের আগে সুইচ বা রিডেম্পশন করতে পারবেন না লগ্নিকারী।
গ। সেকশন ৮০ সি’র (ধারাটি নিয়ে বিশদে জেনে নিলে ভাল হয়) নিয়মাবলী অনুযায়ী, ১,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত “ডিডাকশন” চাইতে পারবেন ফান্ডের ইউনিট হোল্ডাররা।
তবে মূল পয়েন্টগুলোর সঙ্গে যা অবশ্যই জানা উচিত, তা ক্যাপিটাল গ্রোথ সংক্রান্ত। বিভিন্ন ফান্ড ম্যানেজাররা বলে থাকেন যে, ইক্যুইটি ফান্ডের কৌশল মেনে চলার দরুণ, সুযোগমতো পোর্টফোলিও গঠন করতে পারেন তাঁরা। তাই ক্যাপিটাল অ্যাপ্রেসিয়েশন পাওয়া অস্বাভাবিক নয়। এও জানিয়ে রাখা ভালো যে, তিন বছরের লক-ইন শেষ হয়ে গেলেও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তাঁদের ইউনিট ধরে রাখতে পারেন। অর্থাৎ নিয়ম মেনে ৩৬ মাস পরে যে বিক্রি করতেই হবে, তা নয়। ওপেন এন্ড ফান্ডের নিয়ম কার্যত মেনে চলতে হবে – তাই সুযোগ-সুবিধা অনুযায়ী রিডেম্পশন করলেও চলবে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা উচিত যে সিপের প্রতিটি কিস্তিও কিন্তু তিন বছরের জন্য লক-ইন থাকবে।
দৃষ্টান্ত হিসাবে (কোনও পক্ষপাত ছাড়াই) আমরা HSBC ELSS Tax Saver Fund নিয়ে আলোচনা করছি। অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট সংস্থাটির মতে এই বিশেষ প্রকল্পটির প্রধান লক্ষ্য লং-টার্ম ওয়েলথ জেনারেশন। কোনও ধরনের গ্যারান্টি অবশ্য দেওয়া সম্ভব নয়, এ কথা নির্দিষ্টভাবে জানানো হয়েছে লগ্নিকারীদের।
কয়েকটি পয়েন্ট:
১। HSBC ELSS Tax Saver Fund।
২। ডাইভারসিফায়েড পোর্টফোলিও।
৩। বেঞ্চমার্ক ইনডেক্স Nifty 500।
৪। কোনও মার্কেট ক্যাপের প্রতি পক্ষপাত নেই, রিস্ক “ভেরি হাই” শ্রেণির।
৫। মূলত ইক্যুইটি নির্ভর প্রকল্প স্টক বেছে নেওয়া হয় বিভিন্ন শর্ত পূরণ হলে।
৬। সংশ্লিষ্ট সংস্থার ব্যবসার “কোয়ালিটি” এবং “ভ্যালুয়েশন” এখানে বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক।
৭। ট্যাক্স সেভিং সেকশন ৮০সি’র আওতায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.