সুব্রত বিশ্বাস: পুজো মানে শুধু ঠাকুর দেখাই নয়। পুজোর মূল উদ্দেশ্যের মধ্যে অবশ্যই থাকছে খাওয়া-দাওয়া। ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে হাওড়া, শিয়ালদহ-সহ বড় স্টেশনগুলিতেই খাওয়া-দাওয়া সেরে নিতে পারবেন যাত্রীরা। এজন্য ফুডপ্লাজাগুলিকে পুজোর আঙ্গিকে সাজানোর পাশাপাশি একেবারে বাঙালিয়ানা পুজোর খাবারের ব্যবস্থা করেছে।
[মানবিকতার নজির, পুজোর শহরে রাস্তায় মা-মেয়েকে পাহারা দিলেন ক্যাব চালক]
আইআরসিটিসির পূর্বাঞ্চলের গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস চন্দ্র জানিয়েছেন, ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে বহু মানুষ বাইরে খাওয়া-দাওয়া সারেন। তাদের কথা মাথায় রেখে বড় স্টেশনগুলিতে ফুডপ্লাজায় বিশেষ মেনু করা হয়েছে। বাইরে থেকে ট্রেনে অনেকেই যাতায়াত করবেন। তাঁরা যেন পুজোর আনন্দ অনুভব করতে পারেন সেই জন্য ফুডপ্লাজাগুলিতে বাঙালিয়ানা পুজোর সময়ের খাবার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সকালে প্রাতরাশে লুচির সঙ্গে নারকেল কুচি দেওয়া ছোলার ডাল, মিষ্টি। দাম প্রতি থালি ৭৪ টাকা। ২০৪ টাকার একটি থালি পাওয়া যাবে যাতে থাকবে, বেঙ্গলি পোলাও, লুচি, ছোলার ডাল, পনির কোপ্তা, সবজি, চাটনি, দই, রসগোল্লা। এছাড়া আলাদা আলাদাভাবে পাওয়া যাবে ইলিশ ভাপা, ইলিশ সরষে, গলদা চিংড়ির মালাইকারি। প্রতিটি পদের থালার দাম আড়াইশো টাকা।
[পুজোয় কলকাতায় আসছেন না, জানালেন রাহুল গান্ধী]
হাওড়া স্টেশনের তিনটি, শিয়ালদহ, কলকাতা, দুর্গাপুর, আসানসোল, মালদহ, এনজেপি ও রাঁচির ফুডপ্লাজায় এই ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এছাড়া পুজোর আমেজ আনতে আলোকমালায় সাজছে ফুডপ্লাজা। সঙ্গে মা দুর্গা ও সন্তানদের অবয়ব, যেন মর্তে এসে ভূরিভোজে বসেছেন সপরিবার দেবী। সপ্তমীর দিন হাওড়া স্টেশনের ফুডপ্লাজায় ইলিশের পদে চাহিদা এতটাই ছিল যে সন্ধে পর্যন্ত ১৫ হাজার প্লেটেরও বেশি বিক্রি হয়ে যায়।