নতুন জামার গন্ধ। পুজোসংখ্যার পাতায় নয়া অভিযান। পুজোর ছুটির চিঠি। ছোটবেলার পুজোর গায়ে এরকমই মিঠে স্মৃতির পরত। নস্ট্যালজিয়ায় পণ্ডিত তন্ময় বোস।
আমার নিজের কোনও পাড়া সেই অর্থে নেই। বড় রাস্তায় উপর বাড়ি। খেয়ালি সংঘ, একডালিয়া এভারগ্রিন, অগ্রদূত। একডালিয়াতে পারিজাত আবাসনের সামনে কফি-চপের স্টল দিতাম। সেখানেই আড্ডার টানে সবাই হাজির হত। অনেক বন্ধুত্ব-প্রেমের গোড়াপত্তন ওখান থেকে। পাঠভবনের সঙ্গে সেন্ট জেভিয়ার্সের, সাউথ পয়েন্টের সঙ্গে বালিগঞ্জ শিক্ষাসদনের। পুজোয় একবার রবি ঘোষ পাঁচালি করেছিলেন। ‘ভুজুং ভাজুং, আহা ভুজুং ভাজুং’। মেট্রো সিনেমা হলে তা মুক্তি পেয়েছিল। সেখানেই বাংলা ঢোল বাজিয়েছিলাম। আমার দুই বোনও ছিল সেই প্রকল্পে। তখন আমি ক্লাস এইট বা নাইন। পুজোয় ভবানীপুরের নর্দার্ন পার্কে তখন ক্লাসিক্যাল কনসার্ট হত। কলেজে পড়ার সময় ওখানে বাজানোর চেষ্টা করতাম। হাত খরচটা উঠে যেত আর কী!
[ আমার দুগ্গা: পুজো মানে মায়ের হাতে নারকেল নাড়ু ]
ম্যান্ডেভিলা গার্ডেনে এক বন্ধুর বাড়িতে অষ্টমীর ভোগ খেতে যেতাম। ওই দিন আমাদের বাড়িতে মাংস মাস্ট। দশমীর দিন ঠাকুরমা আমাদের সবাইকে ডেকে নিয়ে ১০১ বার শ্রীশ্রী দুর্গা লেখাতেন। তারপর লুচি, তরকারি, মিষ্টি সহযোগে পেট পুজো হত। দশমীর আরও একটা আকর্ষণ ছিল। আমাদের বাড়িটা রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের উপর হওয়ায় বহু আত্মীয় বিসর্জনের শোভাযাত্রা দেখতে দশমীর দিন আমাদের বাড়িতে হাজির হতেন। দোতলা, তিনতলা, ছাদ সব গিজগিজ করত। খুব আনন্দ হত। পুজো মানেই আমার কাছে নস্ট্যালজিয়া, আড্ডা এবং অবশ্যই পুজোর গান, জলসা।
[ আমার দুগ্গা: পুজোর সময় মেলা দেখার অন্য অনুভূতি ছিল ]