Advertisement
Advertisement

Breaking News

মাটির প্রদীপের চাহিদা তুঙ্গে, গুসকরায় ব্যস্ত হাতে কাজ সারছেন সত্তরোর্ধ্ব শিল্পী

গুসকরায়ব একমাত্র তাঁর পরিবারই মাটির প্রদীপ তৈরি করে।

70 years old Patiram of Hooghly is busy to make clay lamp before Diwali
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:October 22, 2019 2:31 pm
  • Updated:October 22, 2019 3:21 pm

ধীমান রায়, কাটোয়া: বয়স ৭০ পার হয়ে গিয়েছে। অশক্ত শরীর। তবু দু’হাতের বিরাম নেই। এই বয়সেও সারাদিনে প্রায় দু’হাজার মাটির ভাঁড় তৈরি করেন গুসকরার পাতিরাম পণ্ডিত। প্রদীপও প্রায় তাই। এক সপ্তাহের মধ্যেই কালীপুজো ও দীপাবলি উৎসব। তাই মাটির প্রদীপ তৈরিতে চূড়ান্ত ব্যস্ততা পাতিরামের।

গত বছরের থেকেও এবছরে চাহিদা বেশি রয়েছে মাটির প্রদীপের। এমনটাই জানিয়েছেন মৃৎশিল্পী পাতিরাম। একা হাতে কাজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না আর। একে বয়সের ভার। তার উপর আবার বরাতও কিছু কম নয়। সব মিলিয়ে নাজেহাল অবস্থা হতে হত। আর তাই কয়েকজন সহযোগী শিল্পীকে ভিনরাজ্য থেকে ভাড়া করে এনেছেন তিনি। গুসকরা পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় রয়েছেন ৫-৬টি কুমোর পরিবার। যাদের পেশা মূলত মাটির ভাঁড় ও অন্যান্য সামগ্রী তৈরি করা। গুসকরা শহর-সহ আউশগ্রাম এলাকার বিভিন্ন গ্রামে যায় এই পরিবারগুলির তৈরি করা মাটির জিনিসপত্র। তবে মাটির প্রদীপ তৈরি করেন শুধু পাতিরামের পরিবারই।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ‘সরকার ছুটিতে যেতে পারে না’, ধামাখালির বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল ]

পাতিরাম পণ্ডিত বলেন, “সারাবছর মাটির ভাঁড় তৈরি করি। কিন্তু দীপাবলির সময় আমরা মাটির ভাঁড় তৈরির পাশাপাশি প্রদীপ তৈরি করি। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত মাটির প্রদীপের চাহিদা তেমন ছিল না। গত দু-একবছর দীপাবলির সময় মাটির প্রদীপের চাহিদা বেড়েছে। এবছর বাজার অনেকটাই ভাল।” পাতিরাম জানিয়েছেন, তিনি নিজে সারাদিনে প্রায় দু’হাজার মাটির ভাঁড় তৈরি করেন। প্রদীপও তৈরি করেন প্রায় ওই একই সংখ্যার। তবে এইসময় কাজের চাপ বেশি থাকায় কয়েকজন সহযোগী মৃৎশিল্পীর সাহায্য নিচ্ছেন। সবাই মিলে কাজ করছেন পুরোদমে। দীপাবলি তো এসেই গেল। এর মধ্যে জোগান দিতে হবে না!

Advertisement

[ আরও পড়ুন: সপ্তাহান্তে ফের বর্ষণের পূর্বাভাস, বৃষ্টিতে মাটি হতে পারে দিওয়ালির আনন্দ! ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ