সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেবী রজঃস্বলা হন! বন্ধ থাকে কামাখ্য মন্দিরের গর্ভগৃহ। ঘরে ঘরে ঢাকা থাকে মাতৃশক্তির মুখ। বছরের এই তিনদিন কোনও বিশেষ পুজো করা হয় না। শাস্ত্রমতে অম্বাবুচীতে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে, যে গুলি মানতে হয়। মনে করা হয় নিয়ম না মানলে সংসারে নামতে পারে বিপর্যয়!
প্রতিটি আচার পালনের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলেন অনেকেই। সেদিক থেকে ব্যতিক্রম নয় অম্বুবাচীও। সংসারের কল্যাণের কথা মাথায় রেখে কিছু কাজ এই তিনদিন করতে নেই বলে মনে করা হয়। সেগুলি কী কী?
অম্বুবাচীর সময়ে কী কী করবেন না?
১. এই সময়ে কোনও বিশেষ পুজো হয় না। মূলত কালী, দুর্গা, জগদ্ধাত্রী, বিপত্তারিণী, শীতলা, চণ্ডীর মূর্তি কিংবা পট লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখাই নিয়ম। মাতৃশক্তির মুখ ঢেকে রাখতে ভুলবেন না।
২. অম্বুবাচী চলাকালীন পুজোর সময় মন্ত্রপাঠ করা অনুচিত।
৩. অম্বুবাচীতে বাড়িতে কোনও শুভ কাজ না করাই শ্রেয়।
৪. বৃক্ষরোপণ কিংবা কৃষিকাজও এই সময়ে করতে নেই।
এই তো গেল কী কী করা যাবে নার তালিকা। কী নিয়ম পালন করলে পাওয়া যাবে দেবীর আর্শীবাদ?
১. অম্বুবাচীতে গুরুপুজো করতে পারবেন।
২. গুরু প্রদত্ত মন্ত্রও অনায়াসে জপ করতে পারবেন।
৩. অম্বুবাচীতে তুলসী গাছে গোড়ার দিকে নজর দিন। ভাল করে মাটি দিয়ে উঁচু করে দিন গোড়া। শাক্তমন্ত্রে দীক্ষিতরা মন্ত্র পাঠও করতে পারেন।
৪. অম্বুবাচীর পর দেবীদের আচ্ছাদন খুলে নিতে ভুলবেন না। তারপর দেবীমূর্তি ভাল করে স্নান করিয়ে পুজো করবেন। দেবীকে আম এবং দুধ নিবেদন করলেই ভাল হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.