Advertisement
Advertisement

Breaking News

মহাশূন্যে বসে টাকা চুরি! মহিলা নভোশ্চরের কুকীর্তিতে হতবাক নাসা

অ্যাকাউন্টে নজরদারি চালিয়েছেন, অর্থ হাতাননি, অভিযোগ অস্বীকার মহিলা মহাকাশচারীর।

A woman astronaut is accussed to theft dollar from ISS
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 25, 2019 4:01 pm
  • Updated:August 25, 2019 4:27 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সঙ্গীর সঙ্গে বিচ্ছেদ মামলা চলাকালীন তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। আর ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল মহাকাশে। শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এটাই খাঁটি বাস্তব। অভিযুক্ত নিজে নাসার মহাকাশবিজ্ঞানী – অ্যান ম্যাককেইন। আর তাঁর দৌলতেই এই প্রথম মহাশূন্যে বসে অপরাধের অভিযোগ তালিকাভুক্ত হল। এই জটিল সমস্যায় তদন্ত শুরু করেছে নাসা নিজেই।

astroanaut
সঙ্গী ও সন্তানের সঙ্গে ম্যাককেইন

অ্যান ম্যাককেইন এবং সামার ওয়ার্ডেন। ২০১৪ সাল থেকে একে অপরের সঙ্গিনী। সামার নিজে ছিলেন গোয়েন্দা আধিকারিক, সিঙ্গল মাদার। আর অ্যান মার্কিন সেনাবাহিনীর অফিসার হিসেবে দীর্ঘদিন ইরাকে ছিলেন। দু’জনের আলাপ-পরিচয়ের পর বিয়ে। একত্রে সামারের সন্তানকে লালনপালনের সিদ্ধান্ত। অ্যান ইরাক থেকে ফেরার পরই নাসায় যোগ দিয়েছেন। এতদিন সব ঠিকঠাকই চলছিল। ২০১৮ সালে সন্তানকে নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে দু’জনে বিচ্ছেদ মামলা করেন। এবছরের গোড়ার দিকে নাসা মহাকাশচারীদের একটি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তাতে অংশ নিয়েছেন অ্যান।  ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে ৬ মাসের জন্য চলে যান অ্যান। তারপরই তাঁর সঙ্গিনী সামার অভিযোগ করেন, মহাকাশে থাকাকালীনই তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অ্যান হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের অর্থ।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ৫০০ বছরের পুরনো নটরাজ মূর্তি ভারতে ফেরাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া]

মহাকাশের বসে ডলার হাতানোর অভিযোগ, এমন এক জটিল বিষয় শুনে প্রথমদিকে ঘাবড়ে যায় নাসা। কিন্তু এমন অভিযোগ তো মহাকাশ গবেষণাকে কলঙ্কিত করেছে। তাই এর তদন্তভার দেওয়া হয় নাসায় নিযুক্ত আইজি পদমর্যাদার আধিকারিক এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন তদন্তকারী দলকে। তদন্তের মুখোমুখি হতে হয়েছে অ্যান এবং সামার – দুজনকেই। অ্যানের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেল মহাকাশে বসে সঙ্গীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নয়, নজরদারি চালাচ্ছিলেন তাঁদের জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের উপর। এর পিছনে কোনও অসৎ উদ্দেশ্য  ছিল না।

Advertisement

অ্যান নিজেও জানিয়েছেন, সন্তান প্রতিপালনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ তাঁদের অ্যাকাউন্টে আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার জন্যই তিনি নজরদারি চালিয়েছিলেন। কোনও অর্থ তিনি হাতিয়ে নেননি। তবে মহাকাশে বসে এমন বেআইনি কাজ চালিয়ে যে অ্যান রীতিমতো কলঙ্কের ছাপ ফেলে গেলেন, সে নিয়ে কোনও সংশয় নেই। আগামিদিনে নাসা মহিলা মহাকাশচারীর একটি প্রতিনিধি দলকে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। নিজের ভাল পারফরম্যান্সের অ্যানও সেই দলটিতেও নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক কাজের জন্য তিনি নাসার এই প্রজেক্ট থেকে বাদ পড়তেই পারেন।

[ আরও পড়ুন: মেঘলা আকাশে দুর্লভ ‘সান হালো’, সৌরবলয় ঘিরে চাঞ্চল্য গঙ্গারামপুরে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ