Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bengali News

মঙ্গলে চমক! লালগ্রহের বুকে তিনটি ‘হ্রদ’ খুঁজে পেলেন গবেষকরা

নতুন তিনটি হ্রদ আবিষ্কারের পর ফের মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

Bengali News: Researchers discover 3 buried lakes on Mars | Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:September 29, 2020 10:13 am
  • Updated:October 1, 2020 1:53 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলগ্রহে (Mars) মিলল আরও তিনটি হ্রদের সন্ধান। দু’বছর আগে লাল গ্রহের বরফ আস্তরণের নীচে একটি বড় হ্রদের সন্ধান পেয়েছিলেন গবেষকরা। এবার তাঁরা খুঁজে পেলেন আরও তিনটি হ্রদ। সোমবার ‘নেচার অ্যাস্ট্রোনমি’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র থেকে তেমনটাই জানা গিয়েছে।

ওই গবেষণাপত্রের সূত্রে জানা যাচ্ছে, দু’বছর আগে একটি নোনা জলের হ্রদের (Lakes) সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল মঙ্গলে। এবার পাওয়া গেল আরও তিনটি হ্রদের খোঁজ। অন্যতম গবেষক রোম বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রহ বিজ্ঞানী এলিনা পেত্তিনেল্লি জানাচ্ছেন, ‘‘আমরা ওই বড় হ্রদটি পেয়েছি। কিন্তু সেই সঙ্গে ওটার কাছাকাছি আরও তিনটি হ্রদের সন্ধান পেয়েছি। এটা একটা জটিল ব্যবস্থা।’’

Advertisement

[আরও পড়ুন: বছর চারেকের মধ্যেই প্রথমবার চাঁদে পা রাখবেন কোনও মহিলা! ঐতিহাসিক ঘোষণা নাসার]

গবেষকরা জানাচ্ছেন, ওই চারটি জলাশয় ৭৫ হাজার বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। অর্থাৎ আয়তনে যা জার্মানির এক-পঞ্চমাংশ। বড় হ্রদটি ৩০ কিলোমিটার জুড়ে অবস্থিত। তাকে ঘিরে রয়েছে বাকি তিনটি হ্রদ। প্রতিটিই কয়েক কিলোমিটার বিস্তৃত।

Advertisement

ভূগর্ভস্থ এই জলাশয়গুলির আবিষ্কারের পর মঙ্গল নিয়ে গবেষণা নতুন দিকে মোড় নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বহুকাল ধরে যে প্রশ্নটি শোনা গিয়েছে, সেটিও আবার নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে। তাহলে কি মঙ্গলে প্রাণের সন্ধান মিলতে পারে? এখনই এবিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা কঠিন বলে মত বিজ্ঞানীদের। তবে জলের অস্তিত্ব মিললেও তার মধ্যে নুনের উপস্থিতির পরিমাণ প্রাণ ধারণের প্রতিকূল বলে মনে করা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিনে সমস্যা! ট্রায়ালে অনেকের শরীরেই দেখা গেল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া]

আবিষ্কৃত জলাশয় নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। ২০১৮ সালে প্রথমবার বড় হ্রদটির সন্ধান মেলার পর থেকেই বহু বিজ্ঞানী ও গবেষকরা তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। তাঁদের মতে আবিষ্কৃত স্থানটি জলাশয় কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। বরফকে জলে পরিণত করার মতো পর্যাপ্ত তাপের উৎস কী হতে পারে তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন তাঁরা। নতুন গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ২০১৮-র আবিষ্কারের পর থেকে এখনও পর্যন্ত তার সমর্থনে বহু তথ্য মিললেও অনেক গবেষক-বিজ্ঞানীই নিশ্চিত নন যে আবিষ্কৃত অঞ্চলটিতে জলই রয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ