Advertisement
Advertisement

Breaking News

অস্ট্রেলিয়ার দাবানল

বিধ্বংসী দাবানলের গ্রাস থেকে ৯০ হাজার পশুপাখিকে বাঁচিয়ে ‘হিরো’ আরউইন পরিবার

বাবা স্টিভ আরউইনের নাম উজ্জ্বল করেছেন বিন্দি ও রবার্ট।

Irwin family saved over 90,000 animals in Australia wildfires
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:January 5, 2020 8:13 pm
  • Updated:January 5, 2020 8:13 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধ্বংসী দাবানলে পুড়ে ছারখার অস্ট্রেলিয়ার সবুজ বনভূমি। বিস্তীর্ণ অঞ্চল আগুনের লেলিহান শিখার গ্রাসে চলে গিয়েছে। ঘরছাড়া বহু মানুষ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বন্যপ্রাণ। তথ্য বলছে, প্রায় তিনমাস ধরে দাবানলে মৃত্যু হয়েছে ৫০ কোটি বন্যপ্রাণীর। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে জীবজন্তুর ঝলসানো দেহের ছবি। যা দেখে শিউরে উঠেছে গোটা দুনিয়া। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ থেকে বিশিষ্টরা অস্ট্রেলিয়ার বন্যপ্রাণী বাঁচাতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন। তাদের মধ্যে নজর কেড়েছে ‘দ্য ক্রোকোডাইল হান্টার’ হিসাবে পরিচিত প্রয়াত স্টিভ আরউইনের পরিবার। জানা গিয়েছে, দাবানলের হাত থেকে ৯০ হাজার পশুপাখির প্রাণ বাঁচিয়ে এখন ‘হিরো’ আরউইনরা।

অস্ট্রেলিয়ার তো বটেই, সারা বিশ্বে পশুপ্রেমীদের কাছে খুবই পরিচিত নাম স্টিভ আরউইন। তাঁর জনপ্রিয় শো ‘দ্য ক্রোকোডাইল হান্টার’ আজও স্মৃতির মণিকোঠায় রয়েছে। যতদিন বেঁচে ছিলেন বন্যপ্রাণ ও পরিবেশ রক্ষার কাজে নিজেকে ব্রতী করেছিলেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বহু জীবজন্তুকে বাঁচিয়েছেন তিনি। কিন্তু ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাট রিফে সমুদ্রের জলের তলায় শোয়ের শুটিংয়ের সময় স্টিং রে-এর ছুঁচলো ল্যাজে এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যায় আরউইনের হৃদপিণ্ড। আরউইনের মৃত্যুর পরেও বন্যপ্রাণ রক্ষায় নিয়োজিত তাঁর পরিবার। অস্ট্রেলিয়ার বিধ্বংসী দাবানলের গ্রাস থেকে অসংখ্য স্তন্যপায়ী, সরীসৃপ ও পাখিকে উদ্ধার করে শুশ্রূষা করছেন স্টিভের মেয়ে বিন্দি এবং ছেলে রবার্ট। তাঁরাই উদ্ধার করা প্রাণীদের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। যা দেখে তাঁদের ধন্য ধন্য করছেন নেটিজেনরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিধ্বংসী দাবানলের গ্রাসে ৫০ কোটি বন্যপ্রাণী, শিউরে ওঠার মতো পরিস্থিতি অস্ট্রেলিয়ায়]

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে ‘অস্ট্রেলিয়া জু’ নামে একটি চিড়িয়াখানা রয়েছে আরউইনদের। হাজার একরের বেশি জায়গা জুড়ে রয়েছে এই চিড়িয়াখানা। সেখানে দাবানলের আঁচ আসেনি এখনও। সেখানেই পশু হাসপাতালে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে প্রাণীদের শুশ্রূষার কাজ। বিন্দি জানিয়েছেন, এই চিড়িয়াখানা ও হাসপাতাল আমার বাবা-মা বানিয়েছিল। তাঁদের স্মৃতির সম্মানে আমরা ‘বন্যপ্রাণী যোদ্ধা’ হিসাবে লড়ে যাচ্ছি। যতটা সম্ভব প্রাণীর প্রাণ বাঁচাতে পারি বাঁচাব।’ বিন্দি আর রবার্টের এই মানবিকতাকে কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা দুনিয়া।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ