Advertisement
Advertisement
বিক্রম নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

‘গতির ভারসাম্য হারিয়েই মুখ থুবড়ে পড়ে বিক্রম’, চন্দ্রযান-২ নিয়ে বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং।

'Lander Vikram lost balance near landing and so failed', says central minister Jitendra Sing
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:November 21, 2019 7:16 pm
  • Updated:November 21, 2019 7:16 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিশন ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে আলোচনা অন্ত নেই। ইসরোর চন্দ্রযান- ২ অভিযানে চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমের সফল অবতরণ না হওয়া নিয়ে এবার আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়াল সংসদের অধিবেশনে। আর এ নিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বললেন, ‘ল্যান্ডার বিক্রম যেখানে অবতরণ করার কথা ছিল, গতিচ্যুত হয়ে তার থেকে ৫০০ মিটার দূরে মুখ থুবড়ে পড়েছে অর্থাৎ হার্ড ল্যান্ডিং হয়েছে বিক্রমের।’ বিক্রমের ব্যর্থতার জন্য তা গতিবেগের ভারসাম্যহীনতাকেই দায়ী করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
ইসরোর চন্দ্রযান ২ একবার উৎক্ষেপণের সময়ে ব্যর্থ হয়েছিল। দিন পনেরোর মধ্যে গত আগস্টে ফের অভিযানে নামানো হয় সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি চন্দ্রযানকে। প্রথম থেকে সবক’টি ধাপ সাফল্যের সঙ্গে পেরতে পারলেও চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার সময়েই গোল বাঁধে। ল্যান্ডার বিক্রম ধীরে ধীরে গতি কমিয়ে সফট ল্যান্ডিং অর্থাৎ পাখির পালকের মতো মৃদুভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠ ছোঁয়ার বদলে তা মুখ থুবড়ে পড়ে, অবতরণস্থল থেকে বেশ খানিকটা দূরে। আর তাতে তখনকার মতো তার কার্যক্ষমতা লোপ পায়। অরবিটার থেকে রেডিও সিগন্যাল পাঠানো হলেও, সাড়া দিতে পারে না বিক্রম। সে আদৌ কর্মক্ষম আছে কি না, তা জানতেও পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়। ইসরোর বিজ্ঞানীরা প্রায় নিশ্চিত হন যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এখনও রয়েছে বিক্রম।

[আরও পড়ুন: মঙ্গলে রয়েছে প্রাণের অস্তিত্ব, দাবি মার্কিন গবেষকের]

ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের এমন এক ঐতিহাসিক মিশন নিয়ে লোকসভার চলতি অধিবেশনে আলোচনা হয়। প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, ‘বিক্রম অবতরণের প্রথম পর্যায়ে গতিবেগ ভারসাম্য ঠিক ছিল। সমস্যা হয় দ্বিতীয় পর্যায়ে। চাঁদের মাটির খুব কাছে গিয়ে গতির ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেনি বিক্রম। হিসেব কষে যে নির্দিষ্ট বেগ তার সিস্টেমে প্রোগ্রামিং করা ছিল, সেটি নষ্ট হয়ে যায়। তাই প্রবল বেগে আছড়ে পড়ে। অবতরণস্থল থেকে তা অন্তত ৫০০মিটার দূরে।’ যেদিন বিক্রমের চাঁদের মাটিতে অবতরণের কথা ছিল, সেদিন সরাসরি ইসরোর কন্ট্রোল রুমে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে বসে মনিটরে নজর রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।মিশন ব্যর্থ হলেও, শেষপর্যন্ত বিজ্ঞানীদের চেষ্টা, পরিশ্রমকে তিনি কুর্নিশ জানিয়েছেন এবং তাঁদের ভেঙে না পড়তে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দিল্লির দূষণ নিয়ে উদ্বিগ্ন, প্রতিবাদে সরব পরিবেশপ্রেমী লিওনার্দো]

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ