সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলের মাটি ফুঁড়ে বেরিয়েছে মাশরুম বা ছত্রাক! তবে কি প্রাণের সন্ধান মিলল প্রতিবেশী লালগ্রহে? এই প্রশ্নে যখন তোলপাড় বিভিন্ন মহল, কৌতূহলী আমজনতা, ঠিক তখনই জল্পনায় বেশ খানিকটা জল ঢেলে দিল নাসার দাবি। বলা হল, মঙ্গলের মাটিতে মাশরুম আকারের কিছু একটা দেখতে পাওয়ার ছবিটি পুরনো। নতুন করে তা ভাইরাল হয়েছে। লালগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি নেই, তা এখনও বিস্তর পরীক্ষানিরীক্ষা ও গবেষণা সাপেক্ষ বিষয়। তবে স্বঘোষিত UFO বিশেষজ্ঞের দাবি, পুরনো ছবি বলে দাবি করলেও নাসা আসলে মাশরুমের বিষয়টি নজরেই আনেনি। এখন নতুন করে তা প্রকাশ্যে আসায় অবশ্য তাকে গবেষণার আওতায় আনা দরকার।
প্রতিবেশী গ্রহে প্রাণের সন্ধানে এক যুগ আগেই ‘কিউরিওসিটি’ নামে মঙ্গলযান পাঠিয়েছে নাসা। মঙ্গলের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে ঘুরে নানা ছবি সে পাঠাচ্ছে নাসার কন্ট্রোলরুমে। মাশরুমের এই ছবিটি ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তোলা। ছবিটি বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, লালচে, পাথুরে মাটি ফুঁড়ে উঠেছে একটি দণ্ড, অনেকটা ছত্রাকের কাণ্ডের মতো। তার মাথায় উপবৃত্তাকার ছাতার মতো অংশ। আরও ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে, ছাতার মতো অংশটি মসৃণ নয়, খসখসে। ছবির এই অংশে বাড়তি আলো ফেলে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে।
তা দেখেই অজানা উড়ন্ত বস্তু নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করা জনৈক স্কট ওয়ারিং বলছেন, এ তো মাশরুম! নাসার উদ্দেশে ওয়ারিংয়ের বার্তা, ”নাসার উচিত ছিল, এটা নিয়ে গবেষণা করা। কিউরিওসিটির এত শক্তিশালী ক্যামেরা, তার সাহায্যে ছবির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করলে কিছু না কিছু পাওয়া যেত। এটা কি শুধুমাত্র পাথুরে একটা আকার নাকি অন্য কিছু?তাও বোঝা যেত।”
আরেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যারেথ ডোরিয়ানের স্পষ্ট দাবি, ছবিতে দেখা বস্তুটি আর যাই হোক, মোটেই জৈব কিছু নয়। তাঁর কথায়, ”আমার অনুমান, এটা মঙ্গলপৃষ্ঠে পাথরের নকশা। দুটি পাথরের অবস্থান ওরকম আকার ধারণ করেছে। বায়ুপ্রবাহের ফলে তা একটি মাশরুমের আকার নিয়েছে।” তবে এত কিছুর পরও মঙ্গলে প্রাণের স্পন্দন আছে কি না, সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। তা এখনও বেশ জটিল অবস্থায় রয়েছে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। কিউরিওসিটির গবেষণা জারি রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.